খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী ভেঙে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী। কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন জানান, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ৩-৪ হাজার মানুষ গত সোমবার ভোর থেকে বাঁধের ভেঙে যাওয়া ৩০০ মিটার বেঁধেছেন জোয়ার আসার আগে। এ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বস্তা দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে তিনি জানান।
কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন যেন কয়রার মানুষের পিছু ছাড়ছে না। যখনই মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখন আবার কোনো না কোনো জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। শফিকুল বলেন, সোমবার প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো গেলেও এটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। বাঁধ মেরামতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এখানে প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে যায় আর এভাবে মেরামত করা হয়। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাস-নাইন মাহমুদ বলেন, সোমবার ভোর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম গ্রামবাসীর সঙ্গে ভাঙন কবলিত স্থানে উপস্থিত থেকে বাঁধ মেরামতে সহযোগিতা করেছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, সোমবার প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো গেছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত মানুদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
গত রোববার ভোরে খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ নম্বর পোল্ডারের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে অন্তত তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালালেও দুপুরে জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতে দ্রুত লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের বসতভিটা ও আড়াই হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের।
স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করলেন এলাকাবাসী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ