ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কচুরি পরিষ্কার

  • আপডেট সময় : ০১:১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান বৈরাগীর খালের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। জেলার সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এ কাজটি করছেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা শহরের যুগশিখা স্কুল প্রান্তে পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন এ কার‌্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহসিন উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম, খাদিজা পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা এ কার‌্যক্রম ঘুরে দেখেন ও স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দেন। কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম জানান, দীর্ঘদিন কচুরিপানা পরিষ্কার না করায় এ খালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কচুরিপানার কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা মাছির প্রজনন হচ্ছিল। কচুরিপানা পরিষ্কার করার ফলে খালের দু’পাড়ের মানুষের ভোগান্তি কমবে। তারা খালটি ব্যবহার করতে পারবেন। ইউএনও মো. মহসিন উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাতটি সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। তিনি আরও বলেছেন, এ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে সাতদিনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার বলেছেন, রোভার, সূর‌্য শিশির ফাউন্ডেশন, স্বপ্ন ফেরিওয়ালা, মামাস, আসপ, বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্টসহ সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা পরিস্কারে কাজ করছেন। খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার হলে খালের পানি মানুষের ব্যবহার উপযোগী হবে। মশা মাছির প্রজনন বন্ধ হবে। দুর্গন্ধ ছাড়াবে না। খালপাড়ে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ নির্মল বাতাস ও পরিবেশ পাবেন। পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেছেন, পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম থেকেই পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্দের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ভালো ও সুস্থ থাকবে। নির্মল পরিবেশ ও বাতাস পাবেন পৌরবাসী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কচুরি পরিষ্কার

আপডেট সময় : ০১:১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান বৈরাগীর খালের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। জেলার সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এ কাজটি করছেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা শহরের যুগশিখা স্কুল প্রান্তে পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন এ কার‌্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাশেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহসিন উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম, খাদিজা পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা এ কার‌্যক্রম ঘুরে দেখেন ও স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দেন। কাউন্সিলর নাজমুল ইসলাম নাজিম জানান, দীর্ঘদিন কচুরিপানা পরিষ্কার না করায় এ খালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কচুরিপানার কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা মাছির প্রজনন হচ্ছিল। কচুরিপানা পরিষ্কার করার ফলে খালের দু’পাড়ের মানুষের ভোগান্তি কমবে। তারা খালটি ব্যবহার করতে পারবেন। ইউএনও মো. মহসিন উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাতটি সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন। তিনি আরও বলেছেন, এ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে সাতদিনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুন নাহার বলেছেন, রোভার, সূর‌্য শিশির ফাউন্ডেশন, স্বপ্ন ফেরিওয়ালা, মামাস, আসপ, বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্টসহ সাতটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও পৌরসভার ৮০ জন শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা পরিস্কারে কাজ করছেন। খালটির কচুরিপানা পরিষ্কার হলে খালের পানি মানুষের ব্যবহার উপযোগী হবে। মশা মাছির প্রজনন বন্ধ হবে। দুর্গন্ধ ছাড়াবে না। খালপাড়ে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ নির্মল বাতাস ও পরিবেশ পাবেন। পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেছেন, পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রথম থেকেই পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্দের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান বৈরাগী খালের কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ভালো ও সুস্থ থাকবে। নির্মল পরিবেশ ও বাতাস পাবেন পৌরবাসী।