ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেলের পরিমিত ব্যবহার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

শামসুন নাহার তাহিরা : তেল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। তবে খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গ্রহণ করা উচিত তেল। খাবারে তেলের পরিমিত ব্যবহার করা সুস্থ থাকার জন্য আবশ্যক। তেল আমাদের শরীরের সঠিক বিপাক ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন। এ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পেয়ে থাকি। কিন্তু তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন জটিলতার কারণ।
দৈনিক খাবার প্রস্তুতে একজন মোটামুটি ৫ চা চামচ তেল গ্রহণ করতে পারবেন। এটাও কোনো রোগ বা শারীরিক অবস্থার কারণে কম হতে পারে। মাসিকভাবে একজন মাথাপিছু আধা লিটার তেল খেতে পারেন। এ ছাড়া তেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাণীজ উৎসের তেলের থেকে উদ্ভিজ্জ উৎসের তেল নির্বাচন করা ভালো। উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে রয়েছে অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, কালিজিরা তেল, তিলের তেল ও বিভিন্ন বাদামের তেল। এ ছাড়া রান্না করার ক্ষেত্রে একই তেল বারবার ব্যবহার না করাই ভালো। একই তেল বারবার ব্যবহার করা হলে তেল পুড়ে পলিমারাইজ হয়। যার ফলে এটি ট্রান্স ফ্যাটে পরিণত হয়।
তাই ফেনাযুক্ত হতে দেখলে বা গন্ধ লাগলে সেটি ফেলে দেওয়াই উচিত। একই তেল ২-৩ বারের বেশি ব্যবহার উচিত নয়। তা-ও সেটি দীর্ঘ সময় না রেখে ব্যবহার করা ভালো। তবে ভিন্ন ভিন্ন খাবার তৈরি করার সময় তেল পরিবর্তন করে নেওয়াই ভালো। ভাজার বদলে ভাপে রান্না করা বা সিদ্ধ করে তেলের ব্যবহার কমানো যেতে পারে। এ ছাড়া রান্নায় ননস্টিক ফ্রাইং প্যান ব্যবহার করেও তেলের ব্যবহার পরিমিত করা সম্ভব। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তেলের পরিমিত ব্যবহার আবশ্যক। তাই তেলের পরিমিত ব্যবহারের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
লেখক: পুষ্টিবিদ

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেলের পরিমিত ব্যবহার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

শামসুন নাহার তাহিরা : তেল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। তবে খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গ্রহণ করা উচিত তেল। খাবারে তেলের পরিমিত ব্যবহার করা সুস্থ থাকার জন্য আবশ্যক। তেল আমাদের শরীরের সঠিক বিপাক ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন। এ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পেয়ে থাকি। কিন্তু তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন জটিলতার কারণ।
দৈনিক খাবার প্রস্তুতে একজন মোটামুটি ৫ চা চামচ তেল গ্রহণ করতে পারবেন। এটাও কোনো রোগ বা শারীরিক অবস্থার কারণে কম হতে পারে। মাসিকভাবে একজন মাথাপিছু আধা লিটার তেল খেতে পারেন। এ ছাড়া তেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাণীজ উৎসের তেলের থেকে উদ্ভিজ্জ উৎসের তেল নির্বাচন করা ভালো। উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে রয়েছে অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, কালিজিরা তেল, তিলের তেল ও বিভিন্ন বাদামের তেল। এ ছাড়া রান্না করার ক্ষেত্রে একই তেল বারবার ব্যবহার না করাই ভালো। একই তেল বারবার ব্যবহার করা হলে তেল পুড়ে পলিমারাইজ হয়। যার ফলে এটি ট্রান্স ফ্যাটে পরিণত হয়।
তাই ফেনাযুক্ত হতে দেখলে বা গন্ধ লাগলে সেটি ফেলে দেওয়াই উচিত। একই তেল ২-৩ বারের বেশি ব্যবহার উচিত নয়। তা-ও সেটি দীর্ঘ সময় না রেখে ব্যবহার করা ভালো। তবে ভিন্ন ভিন্ন খাবার তৈরি করার সময় তেল পরিবর্তন করে নেওয়াই ভালো। ভাজার বদলে ভাপে রান্না করা বা সিদ্ধ করে তেলের ব্যবহার কমানো যেতে পারে। এ ছাড়া রান্নায় ননস্টিক ফ্রাইং প্যান ব্যবহার করেও তেলের ব্যবহার পরিমিত করা সম্ভব। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তেলের পরিমিত ব্যবহার আবশ্যক। তাই তেলের পরিমিত ব্যবহারের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
লেখক: পুষ্টিবিদ