ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

স্বাস্থ্যের ১৭ নথি গায়েবে ৬ জনকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ

  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে সিআইডির একটি দল তদন্তের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ কথা জানিয়েছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। সিআইডির পক্ষ থেকে তাদের নামও জানানো হয়েছে। তবে একটি সূত্র বলছে, যেখান থেকে নথিগুলো গায়েব হয়েছে সেই সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল। মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে, সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা-সম্পর্কিত। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্টের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে। অবশ্য এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্যের ১৭ নথি গায়েবে ৬ জনকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে সিআইডির একটি দল তদন্তের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ কথা জানিয়েছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। সিআইডির পক্ষ থেকে তাদের নামও জানানো হয়েছে। তবে একটি সূত্র বলছে, যেখান থেকে নথিগুলো গায়েব হয়েছে সেই সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল। মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে, সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা-সম্পর্কিত। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্টের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে। অবশ্য এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি।