ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

স্বাস্থ্যের সেই মালেকের পাঁচ, স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

আদালতে আব্দুল মালেক ও নার্গিস বেগম - ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেককে পাঁচ বছর এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ মামলারি রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি মালেক ও নার্গিসকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা জানান, আসামিদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তদন্ত করে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।
২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদের এক মামলায় মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় এ আদালত। এরআগে ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র‌্যাব। তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সে সময়।

ওই সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে। মালেককে গ্রেফতারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

স্বাস্থ্যের সেই মালেকের পাঁচ, স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেককে পাঁচ বছর এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ মামলারি রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি মালেক ও নার্গিসকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা জানান, আসামিদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তদন্ত করে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।
২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদের এক মামলায় মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় এ আদালত। এরআগে ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র‌্যাব। তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সে সময়।

ওই সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে। মালেককে গ্রেফতারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।