নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতিকা-ে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ আসিফুজ্জামান গতকাল রোববার মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর জবানবন্দি নেন। জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষে জেরা করার জন্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১২ জুন ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। অভিযোগপত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ছাড়া অপর আসামিরা হলেন—রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলা করেছিলেন। তদন্তে নাম আসায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন। এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।