নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ২৭ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। মামলার অপর পাঁচ আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। মামলাটিতে আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে আছেন। অপর ৫ আসামি জামিনে আছেন।
গত ১২ জুন সকালে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী সম্প্রতি আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ