ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

স্বাস্থ্যের ফাইল চুরি তদন্তে ‘বলার মতো কিছু পায়নি’ সিআইডি

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফাইল চুরির তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় কর্মচারী ও এক ঠিকাদারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও ‘বলার মতো কিছু পায়নি’ সিআইডি।
ওই নয় কর্মচারী ও ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে শুক্রবার ছেড়ে দেওয়া হয়। টোটনকে রাজশাহী থেকে ধরে আনা হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে কী পাওয়া গেছে- জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গতকাল শনিবার একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, “বলার মতো কিছু নেই। আর ওই ঘটনা তো মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। জিডিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জিডি হলে ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন কর্মচারী নিয়ে যায় সিআইডি। গত ২ নভেম্বর নেওয়া হয় আরও তিন কর্মচারীকে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে ধরে আনা হয়। তাদের সিআইডি দপ্তরে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
ফাইল হারানোর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা নিয়েছি।” “আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা তা নেব।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্যের ফাইল চুরি তদন্তে ‘বলার মতো কিছু পায়নি’ সিআইডি

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফাইল চুরির তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় কর্মচারী ও এক ঠিকাদারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও ‘বলার মতো কিছু পায়নি’ সিআইডি।
ওই নয় কর্মচারী ও ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে শুক্রবার ছেড়ে দেওয়া হয়। টোটনকে রাজশাহী থেকে ধরে আনা হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে কী পাওয়া গেছে- জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গতকাল শনিবার একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, “বলার মতো কিছু নেই। আর ওই ঘটনা তো মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। জিডিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জিডি হলে ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন কর্মচারী নিয়ে যায় সিআইডি। গত ২ নভেম্বর নেওয়া হয় আরও তিন কর্মচারীকে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে ধরে আনা হয়। তাদের সিআইডি দপ্তরে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
ফাইল হারানোর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা নিয়েছি।” “আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা তা নেব।”