ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন

স্বাস্থ্যের জন্য আম কতটুকু উপকারি ও অপকারি

  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ফলের রাজা আমের স্বাদে মুগ্ধ হয়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মৌসুমী ফল সবার প্রিয়। তবে কোনো জিনিস যতই ভালো হোক, অতিরিক্ত হলে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমের উপকারিতার পাশাপাশি জেনে নিন বেশি খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে।

উপকারিতা-
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর: আমে আছে ভিটামিন-এ, সি, ই, কে, বি৬, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বছরের মাত্র কয়েক মাস এই ফল খেয়ে এতোসব পুষ্টি উপাদান পাবে আপনার শরীর, যা সারা বছর আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আমে থাকা ভিটামিন-সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যা সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

৩. হজমশক্তি উন্নত করে: আমে রয়েছে অ্যামাইলেজ জাতীয় এনজাইম, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৪. চোখের জন্য ভালো: আমে থাকা ভিটামিন-এ ও বিটা-ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: আমে থাকা ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা কমায়। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে।

৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: আমে থাকা কোয়ারসেটিন, অ্যাস্ট্রাগালিন ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।

৭. হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়: আমে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

অপকারিতা-
১. ওজন বৃদ্ধি করতে পারে: আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ) থাকে, তাই অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বাড়তে পারে।

২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর: আম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি থেকে বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আম কম খাওয়া উচিত। বেশি আম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে যা পরবর্তীতে আরো স্বাস্থ্যসমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩. পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে: অতিরিক্ত পাকা আম খেলে ডায়রিয়া ও কাঁচা আম বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কাঁচা আম অ্যাসিডিটিও বাড়াতে পারে।

৪. কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে: আমে, বিশেষ করে কাঁচা আমে অক্সালেট থাকে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য কাঁচা আম বেশি খাওয়া ঠিক নয়।

আম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। সঠিক পরিমাণে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায় এবং অপকারিতা এড়ানো যায়। সেই সঙ্গে আপনার যদি আমে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই মৌসুমে ফল দিয়ে তৈরি যেকোনো ডেজার্ট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ ডেজার্টে অনেকেই আম ব্যবহার করেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য প্রতিদিন

স্বাস্থ্যের জন্য আম কতটুকু উপকারি ও অপকারি

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ফলের রাজা আমের স্বাদে মুগ্ধ হয়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মৌসুমী ফল সবার প্রিয়। তবে কোনো জিনিস যতই ভালো হোক, অতিরিক্ত হলে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমের উপকারিতার পাশাপাশি জেনে নিন বেশি খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে।

উপকারিতা-
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর: আমে আছে ভিটামিন-এ, সি, ই, কে, বি৬, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বছরের মাত্র কয়েক মাস এই ফল খেয়ে এতোসব পুষ্টি উপাদান পাবে আপনার শরীর, যা সারা বছর আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আমে থাকা ভিটামিন-সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যা সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

৩. হজমশক্তি উন্নত করে: আমে রয়েছে অ্যামাইলেজ জাতীয় এনজাইম, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৪. চোখের জন্য ভালো: আমে থাকা ভিটামিন-এ ও বিটা-ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: আমে থাকা ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা কমায়। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে।

৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: আমে থাকা কোয়ারসেটিন, অ্যাস্ট্রাগালিন ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।

৭. হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়: আমে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

অপকারিতা-
১. ওজন বৃদ্ধি করতে পারে: আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ) থাকে, তাই অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বাড়তে পারে।

২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর: আম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি থেকে বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আম কম খাওয়া উচিত। বেশি আম খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে যা পরবর্তীতে আরো স্বাস্থ্যসমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩. পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে: অতিরিক্ত পাকা আম খেলে ডায়রিয়া ও কাঁচা আম বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কাঁচা আম অ্যাসিডিটিও বাড়াতে পারে।

৪. কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে: আমে, বিশেষ করে কাঁচা আমে অক্সালেট থাকে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য কাঁচা আম বেশি খাওয়া ঠিক নয়।

আম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। সঠিক পরিমাণে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায় এবং অপকারিতা এড়ানো যায়। সেই সঙ্গে আপনার যদি আমে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই মৌসুমে ফল দিয়ে তৈরি যেকোনো ডেজার্ট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ ডেজার্টে অনেকেই আম ব্যবহার করেন।