ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

স্বাস্থ্যর নথি গায়েবে আরও তিনজন সিআইডির হেফাজতে

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও ১ জন ঠিকাদারকে নিজেদের জিম্মায় নিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নতুন যে তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন অহিদ খান, সেলিম ও হাবিব। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। তাঁদের মধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
একই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট এক ঠিকাদারকে গত সোমবার রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে সিআইডি। এই ঠিকাদারের নাম নাসিমুল গণি। রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। একই এলাকায় তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গায়েব হওয়া নথির মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত নথিও আছে। তবে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি।
গত বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো খোয়া যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।
ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। গত রোববার সিআইডি ও শাহবাগ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা ১১ জনের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে। ছয়জনকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। তবে এখন পর্যন্ত কে, কেন এই নথিগুলো সরিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নথি চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) শাহ্ আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এসব নথিতে অধিদপ্তরের কেনাকাটাসংক্রান্ত বিষয় ছিল। মন্ত্রণালয়ের মতো জায়গা থেকে নথি চুরির ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। মন্ত্রণালয়ের কারও সহায়তা ছাড়া এভাবে চুরি হতে পারে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্যর নথি গায়েবে আরও তিনজন সিআইডির হেফাজতে

আপডেট সময় : ০১:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও ১ জন ঠিকাদারকে নিজেদের জিম্মায় নিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নতুন যে তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন অহিদ খান, সেলিম ও হাবিব। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। তাঁদের মধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
একই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট এক ঠিকাদারকে গত সোমবার রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে সিআইডি। এই ঠিকাদারের নাম নাসিমুল গণি। রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। একই এলাকায় তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গায়েব হওয়া নথির মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত নথিও আছে। তবে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি।
গত বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথি খোয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো খোয়া যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।
ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। গত রোববার সিআইডি ও শাহবাগ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা ১১ জনের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে। ছয়জনকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। তবে এখন পর্যন্ত কে, কেন এই নথিগুলো সরিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নথি চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) শাহ্ আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এসব নথিতে অধিদপ্তরের কেনাকাটাসংক্রান্ত বিষয় ছিল। মন্ত্রণালয়ের মতো জায়গা থেকে নথি চুরির ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। মন্ত্রণালয়ের কারও সহায়তা ছাড়া এভাবে চুরি হতে পারে না।