নিজস্ব প্রতিবেদক : যেকোনো জাতীয় দুর্যোগ কিংবা অগ্নিকা- বা এসিডদগ্ধের ঘটনায় রাত-বিরাতে হাসপাতালে রোগীদের শয্যাপাশে ছুটে যাওয়া সেই পরিচিত মুখ ডাক্তার সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে দেশের পরিচিত মুখ সামন্ত লাল সেন বর্তমানে দেশের বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য খাতে সামন্ত লাল সেনের অবদান অনেক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত ও ঢেলে সাজাতে তাকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী করছেন এমনটাই আভাস পেয়েছেন দলীয় একাধিক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা। চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি (সমন্বয়ক) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সামন্ত লাল সেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সেখানে সামন্ত লাল সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সামন্ত লাল সেন্ট ফিলিস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।