ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

স্বাধীন সাংবাদিকতা বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সমষ্টির’ আয়োজনে ও ইউনেস্কো গ্লোবাল মিডিয়া ডিফেন্স ফান্ড (জিএমডিএফ) সহায়তায় আয়োজিত সংলাপে বক্তারা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, হয়রানি ও মামলার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই একটি আইনি সহায়তা কাঠামো গঠনের দাবি তুলেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার, কার্যকর আইন, এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সমষ্টির’ আয়োজনে ও ইউনেস্কো গ্লোবাল মিডিয়া ডিফেন্স ফান্ড (জিএমডিএফ) সহায়তায় আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের জন্য একটি কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এসময় হেল্প ডেস্ক গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুরুজ্জামান।

সংলাপে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন,
’স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হলেও এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই একটি আইনি সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার জোর দাবি জানান।

সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের জন্য একটি কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করা।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন কর্মপরিবেশ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। বিগত সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমননীতি চালিয়েছে এবং কালো আইন তৈরি করে হয়রানি করেছে। অথচ তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সাধিত হলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলতার অভাব দেখা গেছে। বর্তমানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২টি আইন ব্যবহার করে মামলা ও হয়রানি করা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সংলাপে উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে ৬৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তবে অধিকাংশ হত্যাকা-ের বিচার আজও হয়নি। এমনকি বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যার বিচারও ঝুলে আছে।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকরা রাজনৈতিক চাপ, মালিকপক্ষের প্রভাব, প্রশাসনিক জটিলতা ও কালো টাকার আধিপত্যের কারণে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো কার্যকর আইনি সহায়তা কাঠামো বিদ্যমান নেই।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা নিয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সংলাপে হেল্প ডেস্কের কাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়ে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন বিএফইউজের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল উইমেন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপপরিচালক নিঘাত সীমা, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (লিগ্যাল) মো. বরকত আলী, আইন সেবা’র অ্যাডভোকেট সুজয় চৌধুরী প্রমুখ।

সংলাপে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সাংবাদিক নেতারা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে আমরা দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আইন সহায়তাকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, সাংবাদিকদের জন্য আইনি সহায়তা, পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে এই হেল্প ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আমরা এ উদ্যোগে অংশীদার হতে চাই।

সংলাপে জানানো হয়, প্রস্তাবিত হেল্প ডেস্কটি সাংবাদিক সংগঠন ও আইন সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। যেসব সাংবাদিক আইনি সহায়তা চান, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট আইন সহায়তা সংস্থার কাছে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে, সাংবাদিকদের বিভিন্ন জেলা বা অঞ্চলের আইনি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্প শেষে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে এই হেল্প ডেস্ক মডেলটি টেকসইভাবে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ, সহায়ক এবং অধিকতর কার্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সংলাপে জানানো হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, ভূমি দখল কিংবা রাজনৈতিক সংবেদনশীল বিষয়ে রিপোর্ট করার কারণে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হন। এই প্রেক্ষাপটে একটি দ্রুত, সংবেদনশীল ও কার্যকর আইনি সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার জন্য হেল্প ডেস্ক গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠন ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শিগগিরই এটিকে কার্যকর করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীন সাংবাদিকতা বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

আপডেট সময় : ০৮:৩১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, হয়রানি ও মামলার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই একটি আইনি সহায়তা কাঠামো গঠনের দাবি তুলেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার, কার্যকর আইন, এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সমষ্টির’ আয়োজনে ও ইউনেস্কো গ্লোবাল মিডিয়া ডিফেন্স ফান্ড (জিএমডিএফ) সহায়তায় আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের জন্য একটি কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এসময় হেল্প ডেস্ক গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুরুজ্জামান।

সংলাপে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন,
’স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হলেও এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রেক্ষাপটে তাৎক্ষণিক সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই একটি আইনি সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার জোর দাবি জানান।

সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের জন্য একটি কার্যকর ও প্রাতিষ্ঠানিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করা।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন কর্মপরিবেশ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। বিগত সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমননীতি চালিয়েছে এবং কালো আইন তৈরি করে হয়রানি করেছে। অথচ তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সাধিত হলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলতার অভাব দেখা গেছে। বর্তমানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩২টি আইন ব্যবহার করে মামলা ও হয়রানি করা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সংলাপে উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে ৬৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তবে অধিকাংশ হত্যাকা-ের বিচার আজও হয়নি। এমনকি বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যার বিচারও ঝুলে আছে।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকরা রাজনৈতিক চাপ, মালিকপক্ষের প্রভাব, প্রশাসনিক জটিলতা ও কালো টাকার আধিপত্যের কারণে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো কার্যকর আইনি সহায়তা কাঠামো বিদ্যমান নেই।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা নিয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সংলাপে হেল্প ডেস্কের কাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়ে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন বিএফইউজের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল উইমেন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপপরিচালক নিঘাত সীমা, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (লিগ্যাল) মো. বরকত আলী, আইন সেবা’র অ্যাডভোকেট সুজয় চৌধুরী প্রমুখ।

সংলাপে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সাংবাদিক নেতারা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে আমরা দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আইন সহায়তাকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, সাংবাদিকদের জন্য আইনি সহায়তা, পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে এই হেল্প ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আমরা এ উদ্যোগে অংশীদার হতে চাই।

সংলাপে জানানো হয়, প্রস্তাবিত হেল্প ডেস্কটি সাংবাদিক সংগঠন ও আইন সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। যেসব সাংবাদিক আইনি সহায়তা চান, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট আইন সহায়তা সংস্থার কাছে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে, সাংবাদিকদের বিভিন্ন জেলা বা অঞ্চলের আইনি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্প শেষে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে এই হেল্প ডেস্ক মডেলটি টেকসইভাবে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ, সহায়ক এবং অধিকতর কার্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সংলাপে জানানো হয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রায়শই মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, ভূমি দখল কিংবা রাজনৈতিক সংবেদনশীল বিষয়ে রিপোর্ট করার কারণে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হন। এই প্রেক্ষাপটে একটি দ্রুত, সংবেদনশীল ও কার্যকর আইনি সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার জন্য হেল্প ডেস্ক গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠন ও আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শিগগিরই এটিকে কার্যকর করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।