ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বাধীন সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন একটি সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য ফাঁসকারীদের (হুইসেলব্লোয়ার) সুরক্ষা দেয়।

গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে জমা দেওয়া কাগজপত্র থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বাধীন সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন চাইতে দেখা গেছে।

এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে এটিই তার প্রথম আপিল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেশাল কাউন্সেল কার্যালয়’- এর প্রধান হ্যাম্পটন ডেলিঙ্গারকে তার পদে পুনর্বহাল না করার আর্জি জানানো হয়েছে।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন ডেলিঙ্গার। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের এক বিচারক ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন। ফলে ডেলিঙ্গার তার পদ বহাল থেকে যান।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ সুপ্রিম কোর্টে নিম্ন আদালতের দেওয়া ওই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তবে আদালত এখনও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি।

ডেলিঙ্গার যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, আইনানুয়াযী কেবল তার কাজে কোনও সমস্যা থাকলেই কেবল তাকে তার পদ থেকে সরানো যেতে পারে। কিন্তু তাকে মেইল করা বরখাস্তের যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাতে এ ধরনের কোনও সমস্যার কথা উল্লেখ নেই।

ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন গত বুধবার আপিল আদালতের শরণাপন্ন হয়ে বিফল হওয়ার পর কয়েকঘন্টা পর সুপ্রিম কোর্টে গেল।

সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। সেখানকার ৯ বিচারপতির ৬ জনই রক্ষণশীল। এর মধ্যে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রেসিডেন্সির আমলে তার নিয়োগ তরা তিনজনও আছেন।

ট্রাম্পের ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর জেনারেল সারা হ্যারিস আদালতে জমা দেওয়া নথিতে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট কতক্ষণ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন সংস্থার প্রধানকে নিযুক্ত রাখবেন, সে ব্যাপারে নিম্ন আদালতগুলোকে আদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে দেওয়া আদালতের (সুপ্রিম কোর্ট) উচিত না।

ডেলিঙ্গারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি ই–মেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব থেকে ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেছেন। এরপর তিনি একটি মামলা করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে তাকে বরখাস্ত করেছেন। কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী কেবল অদক্ষতা, কর্তব্যে অবহেলা অথবা কার্যালয়ে অসদাচরণের জন্য কাউকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীন সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন একটি সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য ফাঁসকারীদের (হুইসেলব্লোয়ার) সুরক্ষা দেয়।

গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে জমা দেওয়া কাগজপত্র থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বাধীন সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন চাইতে দেখা গেছে।

এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে এটিই তার প্রথম আপিল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেশাল কাউন্সেল কার্যালয়’- এর প্রধান হ্যাম্পটন ডেলিঙ্গারকে তার পদে পুনর্বহাল না করার আর্জি জানানো হয়েছে।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন ডেলিঙ্গার। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের এক বিচারক ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন। ফলে ডেলিঙ্গার তার পদ বহাল থেকে যান।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ সুপ্রিম কোর্টে নিম্ন আদালতের দেওয়া ওই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তবে আদালত এখনও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি।

ডেলিঙ্গার যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, আইনানুয়াযী কেবল তার কাজে কোনও সমস্যা থাকলেই কেবল তাকে তার পদ থেকে সরানো যেতে পারে। কিন্তু তাকে মেইল করা বরখাস্তের যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাতে এ ধরনের কোনও সমস্যার কথা উল্লেখ নেই।

ডেলিঙ্গারকে বরখাস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন গত বুধবার আপিল আদালতের শরণাপন্ন হয়ে বিফল হওয়ার পর কয়েকঘন্টা পর সুপ্রিম কোর্টে গেল।

সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। সেখানকার ৯ বিচারপতির ৬ জনই রক্ষণশীল। এর মধ্যে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রেসিডেন্সির আমলে তার নিয়োগ তরা তিনজনও আছেন।

ট্রাম্পের ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর জেনারেল সারা হ্যারিস আদালতে জমা দেওয়া নথিতে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট কতক্ষণ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন সংস্থার প্রধানকে নিযুক্ত রাখবেন, সে ব্যাপারে নিম্ন আদালতগুলোকে আদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে দেওয়া আদালতের (সুপ্রিম কোর্ট) উচিত না।

ডেলিঙ্গারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি ই–মেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব থেকে ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেছেন। এরপর তিনি একটি মামলা করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে তাকে বরখাস্ত করেছেন। কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী কেবল অদক্ষতা, কর্তব্যে অবহেলা অথবা কার্যালয়ে অসদাচরণের জন্য কাউকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যায়।