ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল ঢাকা

  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে ওঠে -ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

এদিন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় ‘বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দল’ এবং ‘জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকেও পৃথক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতারা বলেন, ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। এ অবস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে তাদের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। দেশের যেসব ব্যবসায়ী ইসরায়েলি পণ্য আমদানি করছেন, তাদের অনুরোধ করব-এই ব্যবসা থেকে দ্রুত সরে আসুন। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।

তারা আরো বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ও ইসরায়েলের মদদে গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির পরিপন্থি। হামাসের সঙ্গে পারছে না বলে নিরীহ শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। অথচ জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। ওআইসিসহ সব সংস্থাকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দলের বিক্ষোভ থেকে বলা হয়, গাজায় শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইসরায়েল মানবতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ইসরায়েলের বর্বর হামলা দাজ্জালের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দেয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এখন মুসলমান হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ফরজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর আন্দোলনে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই।

তারা বলেন, বাংলাদেশের মতো অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ইসরায়েলি পণ্যের তালিকা করে বর্জন নিশ্চিত করতে হবে। বিক্ষোভ শেষে কয়েকটি মিছিলে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়।

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে মোটরসাইকেল র‌্যালি: ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে একটি মোটরসাইকেল, স্কুটি, বাইসাইকেল ও গাড়ি র‌্যালি হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ধানমন্ডি ৩২ হয়ে সংসদ ভবনে এসে শেষ হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ ভেসপা কমিউনিটির এডমিন দিদারুল ইসলাম সুজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফিলিস্তিনির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য র‌্যালিটি করা হচ্ছে। র‌্যালিতে স্কুটার, ভেসপা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও গাড়ি মিলে ৫ হাজারের মতো হবে। মানুষ আরেকটু বেশি হবে, পথে পথে যোগ দেবে। আমরা কোনো ব্যানারে করছি না। বাংলাদেশের যত টু হুইলার্স গ্রুপ, ফোর হুইলার্স গ্রুপ আছে, সবাই মিলে জয়েন্ট করেছি। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি ৩২ হয়ে আার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে র‌্যালিটি শেষ হবে।

ছবি সংগৃহীত

মিছিলে অংশ নেওয়া রাইডাররা জানান, রাইড ফর প্যালেস্টাইন মানবতার জন্য আজকে এক হওয়া। জাতি, ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষে আমরা যারা সাইক্লিং, মোটর সাইক্লিং, স্কুটার বা গাড়ি চালাই তাদের সবাই এক হওয়াই মূল উদ্দেশ্য। রাইডের শুরুতে চারটি ডেজিগনেটেড এরিয়ায় প্রথমে সাইকেল, তার পেছনে স্কুটার, মোটরবাইক গাড়ি ও সবশেষে মোটরসাইকেল ছিল। খুবই ধীরগতিতে মিছিলটি করা হয়।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল ঢাকা

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

এদিন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় ‘বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দল’ এবং ‘জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকেও পৃথক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতারা বলেন, ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। এ অবস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে তাদের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। দেশের যেসব ব্যবসায়ী ইসরায়েলি পণ্য আমদানি করছেন, তাদের অনুরোধ করব-এই ব্যবসা থেকে দ্রুত সরে আসুন। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।

তারা আরো বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ও ইসরায়েলের মদদে গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির পরিপন্থি। হামাসের সঙ্গে পারছে না বলে নিরীহ শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। অথচ জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। ওআইসিসহ সব সংস্থাকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দলের বিক্ষোভ থেকে বলা হয়, গাজায় শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইসরায়েল মানবতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ইসরায়েলের বর্বর হামলা দাজ্জালের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দেয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এখন মুসলমান হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ফরজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর আন্দোলনে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই।

তারা বলেন, বাংলাদেশের মতো অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ইসরায়েলি পণ্যের তালিকা করে বর্জন নিশ্চিত করতে হবে। বিক্ষোভ শেষে কয়েকটি মিছিলে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়।

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে মোটরসাইকেল র‌্যালি: ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে একটি মোটরসাইকেল, স্কুটি, বাইসাইকেল ও গাড়ি র‌্যালি হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ধানমন্ডি ৩২ হয়ে সংসদ ভবনে এসে শেষ হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ ভেসপা কমিউনিটির এডমিন দিদারুল ইসলাম সুজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফিলিস্তিনির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য র‌্যালিটি করা হচ্ছে। র‌্যালিতে স্কুটার, ভেসপা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও গাড়ি মিলে ৫ হাজারের মতো হবে। মানুষ আরেকটু বেশি হবে, পথে পথে যোগ দেবে। আমরা কোনো ব্যানারে করছি না। বাংলাদেশের যত টু হুইলার্স গ্রুপ, ফোর হুইলার্স গ্রুপ আছে, সবাই মিলে জয়েন্ট করেছি। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি ৩২ হয়ে আার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে র‌্যালিটি শেষ হবে।

ছবি সংগৃহীত

মিছিলে অংশ নেওয়া রাইডাররা জানান, রাইড ফর প্যালেস্টাইন মানবতার জন্য আজকে এক হওয়া। জাতি, ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষে আমরা যারা সাইক্লিং, মোটর সাইক্লিং, স্কুটার বা গাড়ি চালাই তাদের সবাই এক হওয়াই মূল উদ্দেশ্য। রাইডের শুরুতে চারটি ডেজিগনেটেড এরিয়ায় প্রথমে সাইকেল, তার পেছনে স্কুটার, মোটরবাইক গাড়ি ও সবশেষে মোটরসাইকেল ছিল। খুবই ধীরগতিতে মিছিলটি করা হয়।