ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অনড় সৌদি আরব

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক :ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যে কোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায় সৌদি আরব। আর এই শর্তে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান অনড় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল অ্যারাবিয়াহ। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রথমে গাজা যুদ্ধবিরতি জরুরি। এরপর এই অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার, যার মধ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অবশ্যই, এর মূল চাবিকাঠি হলো ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। বুধবার প্রকাশিত পররাষ্ট্রবিষয়ক একটি সাক্ষাতকারে ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেন, আগত ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে। ব্লিঙ্কেন বলেন, তবে এটি ঘটতে হলে, আমাদের গাজায় শান্ত হওয়া দরকার। আর সৌদি আরবের স্পষ্টবার্তা- ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য শান্তি স্থাপনের পথ তৈরি করা দরকার। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে রিয়াদ বারবার পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সীমান্তের উপর ভিত্তি করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে তার অবস্থানে অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতেও বাধা দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ওয়াশিংটন ও বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই বর্বর হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেও ব্যর্থ হয়েছে। নিজের প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের কূটনীতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সামনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নিজের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভেন উইটফকে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর আল-সৌদ গত মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সহজ পথ ছাড়া সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অসম্ভব। সূত্র: আল অ্যারাবিয়াহ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অনড় সৌদি আরব

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক :ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যে কোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায় সৌদি আরব। আর এই শর্তে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান অনড় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল অ্যারাবিয়াহ। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রথমে গাজা যুদ্ধবিরতি জরুরি। এরপর এই অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার, যার মধ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অবশ্যই, এর মূল চাবিকাঠি হলো ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। বুধবার প্রকাশিত পররাষ্ট্রবিষয়ক একটি সাক্ষাতকারে ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেন, আগত ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে। ব্লিঙ্কেন বলেন, তবে এটি ঘটতে হলে, আমাদের গাজায় শান্ত হওয়া দরকার। আর সৌদি আরবের স্পষ্টবার্তা- ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য শান্তি স্থাপনের পথ তৈরি করা দরকার। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে রিয়াদ বারবার পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সীমান্তের উপর ভিত্তি করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে তার অবস্থানে অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতেও বাধা দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ওয়াশিংটন ও বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই বর্বর হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেও ব্যর্থ হয়েছে। নিজের প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের কূটনীতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সামনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নিজের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভেন উইটফকে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর আল-সৌদ গত মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সহজ পথ ছাড়া সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অসম্ভব। সূত্র: আল অ্যারাবিয়াহ