ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে আবাহনী ও বসুন্ধরা

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কেটে রাখল ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের দলের হয়ে একটি করে গোল করেন ড্যানিয়াল কলিন্দ্রেস সোলেরা এবং নাবিব নওয়াজ জীবন।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার পরস্পরের বিপক্ষে মাঠে নামে ঢাকা আবাহনী এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে থাকে আকাশি-নীল রংয়ের জার্সিধারীরা। আর সেই সুবাদে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী।
এ সময় মাঠে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে কোস্টা রিকার এই ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক মিতুল হোসেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও পেয়েছিলো জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু যোগ্য ফিনিশারের অভাবে পায়নি গোলের দেখা। উল্টো ম্যাচের ৮১তম মিনিটে খেয়ে বসে আরও একটি গোল। ডান দিক থেকে কলিনদ্রেসের গোলমুখে নেওয়া ফ্রি কিক নিখুঁত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন জীবন। এরপর আর কোনো গোল না হলে ফাইনাল নিশ্চিত হয় আবাহনীর।
শিরোপার লড়াইয়ে বসুন্ধরা কিংস এবং বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যকার ম্যাচে যে দল জিতবে তাদের বিপক্ষে লড়বে আবাহনী।
অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ফাইনালে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হবে তারা।
তবে এই ম্যাচটি বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এমনকি গ্যালারি থেকে বোতল ছুড়ে মারার মতো ঘটনাও ঘটে। দৃষ্টিকটুভাবে লাইন্সম্যানদের অফসাইড কল করা এবং সেটার প্রতিবাদে মাঠেই খেলোয়াড়রা ‘টাকা খাওয়ার’ ইঙ্গিতও করেন।
তবে এদিন পুলিশ এফসি দারুণ পরীক্ষা নেয় বিগ বাজেটের দল বসুন্ধরার। সেমিফাইনালে ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো আগুস্তো হেডে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে।
২৯ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বসুন্ধরা। এ সময় মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাঁ পায়ের কোণাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তাতে সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।
দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল গোলের দারুণ দারুণ সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহূর্তে বসুন্ধরার ইয়াসিন খান গোল করে উল্লাসে ভাসান সমর্থকদের। এ সময় কর্নার থেকে আসা বলে হেড নেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। তার থেকে বল পান ইয়াসিন। তিনি আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন।
গোল করার উচ্ছ্বাসে জার্সি খুলে উদযাপন করেন ইয়াসিন। দেখেন হলুদ কার্ডও। কিন্তু তাতে কিছু যায়-আসে না তার। কারণ, শিরোপা অক্ষুন্না রাখার জন্য তার গোলে দল যে পৌঁছে গেছে ফাইনালে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে আবাহনী ও বসুন্ধরা

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কেটে রাখল ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের দলের হয়ে একটি করে গোল করেন ড্যানিয়াল কলিন্দ্রেস সোলেরা এবং নাবিব নওয়াজ জীবন।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার পরস্পরের বিপক্ষে মাঠে নামে ঢাকা আবাহনী এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে থাকে আকাশি-নীল রংয়ের জার্সিধারীরা। আর সেই সুবাদে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী।
এ সময় মাঠে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে কোস্টা রিকার এই ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক মিতুল হোসেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও পেয়েছিলো জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু যোগ্য ফিনিশারের অভাবে পায়নি গোলের দেখা। উল্টো ম্যাচের ৮১তম মিনিটে খেয়ে বসে আরও একটি গোল। ডান দিক থেকে কলিনদ্রেসের গোলমুখে নেওয়া ফ্রি কিক নিখুঁত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন জীবন। এরপর আর কোনো গোল না হলে ফাইনাল নিশ্চিত হয় আবাহনীর।
শিরোপার লড়াইয়ে বসুন্ধরা কিংস এবং বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যকার ম্যাচে যে দল জিতবে তাদের বিপক্ষে লড়বে আবাহনী।
অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ফাইনালে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হবে তারা।
তবে এই ম্যাচটি বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এমনকি গ্যালারি থেকে বোতল ছুড়ে মারার মতো ঘটনাও ঘটে। দৃষ্টিকটুভাবে লাইন্সম্যানদের অফসাইড কল করা এবং সেটার প্রতিবাদে মাঠেই খেলোয়াড়রা ‘টাকা খাওয়ার’ ইঙ্গিতও করেন।
তবে এদিন পুলিশ এফসি দারুণ পরীক্ষা নেয় বিগ বাজেটের দল বসুন্ধরার। সেমিফাইনালে ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো আগুস্তো হেডে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে।
২৯ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বসুন্ধরা। এ সময় মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাঁ পায়ের কোণাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তাতে সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।
দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল গোলের দারুণ দারুণ সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহূর্তে বসুন্ধরার ইয়াসিন খান গোল করে উল্লাসে ভাসান সমর্থকদের। এ সময় কর্নার থেকে আসা বলে হেড নেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। তার থেকে বল পান ইয়াসিন। তিনি আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন।
গোল করার উচ্ছ্বাসে জার্সি খুলে উদযাপন করেন ইয়াসিন। দেখেন হলুদ কার্ডও। কিন্তু তাতে কিছু যায়-আসে না তার। কারণ, শিরোপা অক্ষুন্না রাখার জন্য তার গোলে দল যে পৌঁছে গেছে ফাইনালে।