ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘বিশ্ব’ ঘুরবে প্রবাসী অভিযাত্রীরা

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখতে সড়কপথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তত ৫০ দেশের মানচিত্র স্পর্শ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রবাসীদের একটি অভিযাত্রী দল, যাকে তারা বলছেন ‘সুবর্ণযাত্রা’।
২৭ সেপ্টেম্বর নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে এ যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে আয়োজক সংগঠন ‘চিন্তা ও চাকা’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিশ্বের ৫০টি দেশের স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ অভিযাত্রার সমাপ্তি টানা হবে।
‘চিন্তা ও চাকা’ নরডিক অঞ্চলের প্রবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠন। সংগঠনের মুখপাত্র মতিউর রহমান জানান, ইউরোপ এবং এশিয়ায় অন্তত দুইশ স্বেচ্ছাসেবী এ আয়োজন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
“আমাদের যাত্রা শুরু হবে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে। শোভাযাত্রাটি দক্ষিণ বরাবর বাংলাদেশ মুখে যাত্রাপথে এশিয়া এবং ইউরোপের প্রায় ৫০টি দেশ অতিক্রম করবে। “আমাদের বিশ্বাস এ শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এ ৫০টি দেশের স্থানীয় জনগণ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের কাছে নিজ দেশের ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস থাকবে।”
মতিউর জানান, তারা বিশ্ববাসীর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরতে চান। নানা কর্মসূচিতে সাজানো হয়েছে তিন মাসব্যাপী আনুমানিক ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথযাত্রা। পথযাত্রার প্রতিটি বিরতিতে থাকবে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্থানীয় ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন। শিশুদের অংশগ্রহণে কেক কাটার আয়োজনও থাকবে এ কর্মসূচিতে। ‘চিন্তা ও চাকা’ জানায়, শুধু বাংলাদেশ নয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী শিশুদের কাছে তুলে ধরতে চান। অভিযাত্রার শেষে ১৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা হবে বিজয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজকরা জানান, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশের সবগুলো জেলাকে তারা এক সুতোয় বাঁধতে চান শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে; যুক্ত করতে চান জেলার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও।
সুবর্ণযাত্রার বিস্তারিত আপডেট পাওয়া যাবে যঃঃঢ়ং://িি.িংঁনধৎহধলধঃৎধ.পড়স ওয়েবসাইটে। এছাড়া ফেইসবুক পাতায়ও করা যাবে অনুসরণ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘বিশ্ব’ ঘুরবে প্রবাসী অভিযাত্রীরা

আপডেট সময় : ১১:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখতে সড়কপথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তত ৫০ দেশের মানচিত্র স্পর্শ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রবাসীদের একটি অভিযাত্রী দল, যাকে তারা বলছেন ‘সুবর্ণযাত্রা’।
২৭ সেপ্টেম্বর নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে এ যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে আয়োজক সংগঠন ‘চিন্তা ও চাকা’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিশ্বের ৫০টি দেশের স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ অভিযাত্রার সমাপ্তি টানা হবে।
‘চিন্তা ও চাকা’ নরডিক অঞ্চলের প্রবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠন। সংগঠনের মুখপাত্র মতিউর রহমান জানান, ইউরোপ এবং এশিয়ায় অন্তত দুইশ স্বেচ্ছাসেবী এ আয়োজন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
“আমাদের যাত্রা শুরু হবে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের নর্থক্যাপ থেকে। শোভাযাত্রাটি দক্ষিণ বরাবর বাংলাদেশ মুখে যাত্রাপথে এশিয়া এবং ইউরোপের প্রায় ৫০টি দেশ অতিক্রম করবে। “আমাদের বিশ্বাস এ শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এ ৫০টি দেশের স্থানীয় জনগণ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের কাছে নিজ দেশের ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস থাকবে।”
মতিউর জানান, তারা বিশ্ববাসীর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরতে চান। নানা কর্মসূচিতে সাজানো হয়েছে তিন মাসব্যাপী আনুমানিক ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথযাত্রা। পথযাত্রার প্রতিটি বিরতিতে থাকবে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্থানীয় ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন। শিশুদের অংশগ্রহণে কেক কাটার আয়োজনও থাকবে এ কর্মসূচিতে। ‘চিন্তা ও চাকা’ জানায়, শুধু বাংলাদেশ নয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী শিশুদের কাছে তুলে ধরতে চান। অভিযাত্রার শেষে ১৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা হবে বিজয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজকরা জানান, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশের সবগুলো জেলাকে তারা এক সুতোয় বাঁধতে চান শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে; যুক্ত করতে চান জেলার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও।
সুবর্ণযাত্রার বিস্তারিত আপডেট পাওয়া যাবে যঃঃঢ়ং://িি.িংঁনধৎহধলধঃৎধ.পড়স ওয়েবসাইটে। এছাড়া ফেইসবুক পাতায়ও করা যাবে অনুসরণ।