প্রত্যাশা ডেস্ক : শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল সোমবার জাতীয় শোক দিবসের দিন এক ফেইসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এ কথা লিখেছেন।
সাতচল্লিশ বছর আগে ঘাতকের বুলেট যেদিন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, সেই শোকের দিন ১৫ অগাস্ট ফিরে এসেছে আবার। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতি পালন করছে জনককে হারানোর দিনটি।
শোকের দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সবাইকে স্মরণ করে তার দৌহিত্র লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে।
“১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে। এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানম-ির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে। হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে।“
এ হত্যাকা-কে বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ‘ঘৃণ্য ও নৃশংসতম’ হত্যাকা- উল্লেখ করে জয় বলেছেন, “সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও।“ খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে উল্টো পুরস্কৃত করার যে ঘটনা ঘটেছিল, তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকা- বাঙালি জাতির জন্য করুণ বিয়োগগাথা হলেও ভয়ঙ্কর ওই হত্যাকা-ে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। “এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার।” প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেন, “তাই এই শোকের দিনে স্মরণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের।”
স্বাধীনতার আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা: জয়
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ