ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই মানবেন না মুক্তিযোদ্ধারা

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে আলোচনা সভা ও মৌলবাদবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান তার ব্যক্তব্যে বলেন, দেশে মৌলবাদীদের আস্ফালন দেখা যায়। নানা ষড়যন্ত্র দেখা যায়। প্রয়োজনে এসব মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা আবার যুদ্ধ করবো। স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা। মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তিনি দিয়েছেন। তিনি আমাদের দেখছেন। কিন্তু আমাদের এখনো কোনো অভিভাবক নেই, যিনি দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন। তাই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন খুবই দরকার। সভার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহুরুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের দাবিও জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বস্তরে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গেজেট প্রকাশ করে পরিচয়পত্র দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা করা ও মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৪০ হাজার টাকা করার ব্যবস্থাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বসতভিটায় সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় খরচে মানসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, রেশনের ব্যবস্থা ও বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন ফারুক, মনির খন্দকার, মো. আলী চৌধুরী, হুমায়ূন খান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই মানবেন না মুক্তিযোদ্ধারা

আপডেট সময় : ০১:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্রই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে আলোচনা সভা ও মৌলবাদবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান তার ব্যক্তব্যে বলেন, দেশে মৌলবাদীদের আস্ফালন দেখা যায়। নানা ষড়যন্ত্র দেখা যায়। প্রয়োজনে এসব মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা আবার যুদ্ধ করবো। স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা। মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তিনি দিয়েছেন। তিনি আমাদের দেখছেন। কিন্তু আমাদের এখনো কোনো অভিভাবক নেই, যিনি দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন। তাই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন খুবই দরকার। সভার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহুরুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের দাবিও জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বস্তরে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গেজেট প্রকাশ করে পরিচয়পত্র দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা করা ও মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৪০ হাজার টাকা করার ব্যবস্থাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বসতভিটায় সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় খরচে মানসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, রেশনের ব্যবস্থা ও বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন ফারুক, মনির খন্দকার, মো. আলী চৌধুরী, হুমায়ূন খান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।