ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বাদুপানির সবচেয়ে বড় মাছের সন্ধান

  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : দুনিয়ায় এ পর্যন্ত স্বাদুপানিতে যত মাছ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে নথিভুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় মাছটির সন্ধান কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে পাওয়া গেছে। তিনশ’ কেজি ওজনের স্টিংরে মাছটি পাওয়ার পর এই ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো একটি মেকং জায়ান্ট ক্যাটফিশের। ২০০৫ সালে ২৯৩ কেজি ওজনের মাছটি থাইল্যান্ডে ধরা পড়ে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর নদী মেকং। তবে অতিরিক্ত মাছ শিকার, বাধ নিমাণ এবং দূষণের কারণে এর বাস্তুতন্ত্র ভঙ্গুর হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীটি তিব্বত উপত্যকা দিয়ে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন করা সংরক্ষণ প্রকল্প ওয়ান্ডার্স অব দ্য মেকং এর নেতা জেব হোগান বলেন, ‘ছয়টি মহাদেশের নদী ও হ্রদে বিশালাকার মাছ নিয়ে গবেষণার ২০ বছরে, এটিই সবচেয়ে বড় মিঠা পানির মাছ যা আমরা পেয়েছি বা যেটি বিশ্বব্যাপী কোথাও নথিভুক্ত করা হয়েছে’।
রেনোর নেভাদা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. হোগান বলেন, ‘এই মাছটি খুঁজে পাওয়া এবং নথিভুক্ত করা অসাধারণ বিষয় এবং আশার একটি বিরল ইতিবাচক চিহ্ন। আরও অসাধারণ কারণ এটি মেকং-এ ঘটেছে, নদীটি বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন’। কম্বোডিয়ার মৎস্য প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা প্রকল্পটি জেলেদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই জেলেরা কোনও বিশালাকার কিংবা বিরল প্রজাতির মাছ পেলেই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে।
গত ১৩ জুন রাতে কোহ প্রিয়াহ দ্বীপের স্থানীয় এক জেলে গবেষকদের জানান তিনি খুবই বড় একটি স্টিংরে পেয়েছেন। এটি ৩.৯৮ মিটার দীর্ঘ এবং ২.২ মিটার চওড়া। ভবিষ্যতে চলাফেরা শনাক্ত করতে মাছটির শরীরে একটি ট্যাগ লাগিয়ে পরে একে মেকং নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ড. হোগান বলেন, ‘এটি সন্ধ্যার দিকে মেকংয়ের ঘোলা জলে অদৃশ্য হয়ে যায়, ততক্ষণে ইতোমধ্যে আকাশে চাঁদ উঠে যায়’। স্থানীয় খেমার ভাষায় মাছটিকে ‘বোরামে’ বলা হয়। এর অর্থ জ্যোৎস্না। ড. হোগান বলেন, ‘স্টিংরেটি খুঁজে পাওয়া প্রমাণ করে বিশ্বের প্রকৃতি এখনও নতুন ও অসাধারণ কিছু আবিষ্কার করতে পারে, এবং অনেক বড় জলজ প্রাণী দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে’।
স্বাদুপানির বিশালাকার স্টিংরে এখন বিপন্ন প্রজাতি। গবেষক দলটি গত মে মাসের পর এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশালাকার স্টিংরে শনাক্ত করে। আগেরটির ওজন ছিলো ১৮১ কেজি। ড. হোগান বলেন, ‘যখন রেকর্ড মাছ পাওয়া যায়, এর মানে জলজ পরিবেশ এখনও তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর। এটি আমরা ইয়ান্টজি নদীর মতো জায়গায় যা দেখেছি তার বিপরীত, সেখানে বিজ্ঞানীরা চীনা প্যাডলফিশের বিলুপ্তির কথা জানিয়েছেন’। সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বাদুপানির সবচেয়ে বড় মাছের সন্ধান

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : দুনিয়ায় এ পর্যন্ত স্বাদুপানিতে যত মাছ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে নথিভুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় মাছটির সন্ধান কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে পাওয়া গেছে। তিনশ’ কেজি ওজনের স্টিংরে মাছটি পাওয়ার পর এই ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো একটি মেকং জায়ান্ট ক্যাটফিশের। ২০০৫ সালে ২৯৩ কেজি ওজনের মাছটি থাইল্যান্ডে ধরা পড়ে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর নদী মেকং। তবে অতিরিক্ত মাছ শিকার, বাধ নিমাণ এবং দূষণের কারণে এর বাস্তুতন্ত্র ভঙ্গুর হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীটি তিব্বত উপত্যকা দিয়ে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন করা সংরক্ষণ প্রকল্প ওয়ান্ডার্স অব দ্য মেকং এর নেতা জেব হোগান বলেন, ‘ছয়টি মহাদেশের নদী ও হ্রদে বিশালাকার মাছ নিয়ে গবেষণার ২০ বছরে, এটিই সবচেয়ে বড় মিঠা পানির মাছ যা আমরা পেয়েছি বা যেটি বিশ্বব্যাপী কোথাও নথিভুক্ত করা হয়েছে’।
রেনোর নেভাদা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. হোগান বলেন, ‘এই মাছটি খুঁজে পাওয়া এবং নথিভুক্ত করা অসাধারণ বিষয় এবং আশার একটি বিরল ইতিবাচক চিহ্ন। আরও অসাধারণ কারণ এটি মেকং-এ ঘটেছে, নদীটি বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন’। কম্বোডিয়ার মৎস্য প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা প্রকল্পটি জেলেদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই জেলেরা কোনও বিশালাকার কিংবা বিরল প্রজাতির মাছ পেলেই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে।
গত ১৩ জুন রাতে কোহ প্রিয়াহ দ্বীপের স্থানীয় এক জেলে গবেষকদের জানান তিনি খুবই বড় একটি স্টিংরে পেয়েছেন। এটি ৩.৯৮ মিটার দীর্ঘ এবং ২.২ মিটার চওড়া। ভবিষ্যতে চলাফেরা শনাক্ত করতে মাছটির শরীরে একটি ট্যাগ লাগিয়ে পরে একে মেকং নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ড. হোগান বলেন, ‘এটি সন্ধ্যার দিকে মেকংয়ের ঘোলা জলে অদৃশ্য হয়ে যায়, ততক্ষণে ইতোমধ্যে আকাশে চাঁদ উঠে যায়’। স্থানীয় খেমার ভাষায় মাছটিকে ‘বোরামে’ বলা হয়। এর অর্থ জ্যোৎস্না। ড. হোগান বলেন, ‘স্টিংরেটি খুঁজে পাওয়া প্রমাণ করে বিশ্বের প্রকৃতি এখনও নতুন ও অসাধারণ কিছু আবিষ্কার করতে পারে, এবং অনেক বড় জলজ প্রাণী দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে’।
স্বাদুপানির বিশালাকার স্টিংরে এখন বিপন্ন প্রজাতি। গবেষক দলটি গত মে মাসের পর এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশালাকার স্টিংরে শনাক্ত করে। আগেরটির ওজন ছিলো ১৮১ কেজি। ড. হোগান বলেন, ‘যখন রেকর্ড মাছ পাওয়া যায়, এর মানে জলজ পরিবেশ এখনও তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর। এটি আমরা ইয়ান্টজি নদীর মতো জায়গায় যা দেখেছি তার বিপরীত, সেখানে বিজ্ঞানীরা চীনা প্যাডলফিশের বিলুপ্তির কথা জানিয়েছেন’। সূত্র: বিবিসি