ক্রীড়া ডেস্ক: শুরুটা করেছিলেন ট্রাভিস হেড। সতীর্থ ওপেনার উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগ্রাসী শুরু এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও, সফরকারীদের রানের গতি সচল রেখে খাজা ও স্টিভ স্মিথ জোড়া সেঞ্চুুরি করেছেন। তাদের সামনে লঙ্কান বোলাররা ছিলেন অনেকটা অসহায়। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথমদিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৩০ রান। গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে প্রায় ৯ ওভার বাকি রেখেই দিন শেষের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় দুই অস্ট্রেলিয়ান সেঞ্চুরিয়ান স্মিথ (১০৪) ও খাজা (১৪৭) অপরাজিত ছিলেন।
স্মিথ পঞ্চম দ্রততম ক্রিকেটার হিসেবে ঢুকেছেন টেস্টে ১০ হাজার রানের এলিট ক্লাবে। আউট হওয়া দুই ব্যাটারের মধ্যে হেড ৫৭ এবং মার্নাস লাবুশেন করেছেন ২০ রান। বিপরীতে সারাদিন বোলিং করে ২টি উইকেট নিতে পেরেছে লঙ্কানরা। খরুচে বোলিংয়ের পর ১টি করে উইকেট শিকার করেন প্রবাথ জয়সুরিয়া ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসি। সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ঝড়ের বেগে রান তুলেছেন হেড। ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাত্র ৩৫ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় তিনি ৫৭ রানে থামেন। খাজা-হেডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৯২ রানে। ওই রান অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ১৪.৩ ওভারে তুলেছিল। এরপর হেডের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মেজাজে খেলতে থাকেন লাবুশেন। ফলে ৬ এর বেশি রানে গড় থাকা দলটি পরের ১৫ ওভারে তোলে ৩ রানের কম গড়ে।
লাবুশেন ৫০ বলে ২০ রান করে আউট হলে আবারও রানের গতি বাড়ে সফরকারীদের। ক্রিজে নেমেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন স্মিথ। মাত্র ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে তিনি গত মাসে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ শেষ করেছিলেন। সেই রানটি নিয়েই আজ দশ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ও বিশ্বের ১৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন এই সিরিজে অজি অধিনায়ক।
আর এই একটা রানই রেকর্ডের পাতায় অন্তত চার জায়গায় তুলেছে স্মিথের নামটাকে। টেস্টে মাত্র ৬ষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। তার আগে তিন অজি অধিনায়ক ছাড়া এই ক্লাবে আছেন কেবল ব্রায়ান লারা এবং অ্যালিস্টার কুক। ম্যাচের হিসাবে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন স্মিথ। ১১১ ম্যাচে এই এলিট ক্লাবে যুক্ত হয়েছিলেন ব্রায়ান লারা। কুমার সাঙ্গাকারা এবং স্মিথ দুজনকে খেলতে হয়েছে ১১৫ ম্যাচ। ইউনিস খান খেলেছিলেন ১১৬ ম্যাচ। আর রিকি পন্টিংয়ের দরকার ছিল ১১৮ ম্যাচ।
স্মিথের আগেই ক্রিজে আসা খাজাও দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকে। সর্বশেষ সিরিজেও রানখরায় ভোগা এই তারকা ওপেনার ২১০ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় ১৪৭ রানে ব্যাট করছেন। তার সমান চার-ছক্কার বাউন্ডারি খেলেছেন স্মিথও। এখন পর্যন্ত এই দুজনের জুটি ১৯৫ রানের। যা শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টের তৃতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া সফরকারী কোনো অধিনায়ক হিসেবে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পঞ্চম সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ (সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরি অ্যালিস্টার কুকের)।