ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

স্বাক্ষর জালিয়াতি: পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু কারাগারে

  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৮ এর বিচারক তাকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন কোয়েল এ বিষয়টি জানিয়েছেন। জানা যায়, মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা পায় উত্তরা ব্যাংক। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সই জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মসিউর রহমানের জায়গায় ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তিনি চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণ হয় যে এমন কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মো. রফিকুল ইসলাম রেনু ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন। ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে আদালতের বিচারক এ মামলায় দ-বিধির ৪৬৮ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। সেই সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেন। পরে আদালতের নির্দেশে রফিকুল ইসলাম রেনুর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

স্বাক্ষর জালিয়াতি: পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু কারাগারে

আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৮ এর বিচারক তাকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন কোয়েল এ বিষয়টি জানিয়েছেন। জানা যায়, মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা পায় উত্তরা ব্যাংক। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সই জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মসিউর রহমানের জায়গায় ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তিনি চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণ হয় যে এমন কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মো. রফিকুল ইসলাম রেনু ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন। ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে আদালতের বিচারক এ মামলায় দ-বিধির ৪৬৮ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। সেই সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেন। পরে আদালতের নির্দেশে রফিকুল ইসলাম রেনুর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।