ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিতে ছুটি পুনর্বিন্যাসের দাবি

  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে ঈদের ছুটি ব্যবস্থাপনা ঠিক করে ঈদের আগে ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিন ছুটি ঘোষণার বিষয়টি ইতঃপূর্বে গণমাধ্যমে চাউর হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই এই ছুটি ঘোষণা করায় দেশের যাত্রীসাধারণ এবারের আসন্ন ঈদুল আজহায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিষয়টি সরকারের সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তেমন কোনো সাড়া মেলেনি।

তিনি বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে বিদায়ি পবিত্র ঈদুল ফিতরে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রার পেছনে মূলত তিনটি কারণ ছিল। এর মধ্যে একটি ঈদের আগে ৪ দিনের লম্বা ছুটি, দ্বিতীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের প্রভাবশালী মাফিয়া নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় সড়কে মাস্তানিতন্ত্রের অবসান ও তৃতীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআরটিএ, ভোক্তা অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে মানুষ ভোগান্তিমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করা গেছে। এই কারণে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের তুলনায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ২১.০৫ শতাংশ, নিহত ২০.৮৮ শতাংশ, আহত ৪০.৯১ শতাংশ কমেছিল। এই কারণে অন্তর্বর্তী সরকার নানা মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি বিন্যাস করে ঈদের আগে ৩ ও ৪ জুন ২ দিন ছুটি নিশ্চিত করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি, যাতায়াতের ভোগান্তি কমানো সক্ষম হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পবিত্র ঈদুল আজহায় আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন মোট ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছেন। লম্বা ছুটির কারণে এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যেতে পারে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ও ঢাকার আশেপাশে জেলা থেকে আরো ৩০ লাখসহ ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারে। ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলে ঈদের আগে ৫ ও ৬ জুন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মাত্র ২ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। আর ৬ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলে ঈদের আগে মাত্র ৫ জুন বৃহস্পতিবার ১ দিনের সরকারি ছুটি থাকে। ঈদের আগে ঈদের ছুটি ২ দিন হলে একদিনে ৭৫ লাখ করে দুই দিনে দেড় কোটি মানুষ গ্রামের বাড়ি পাঠাতে গেলে দেশের যাত্রীসাধারণ ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়তে হবে। অন্যদিকে ঈদের আগে ঈদের ছুটি ১ দিন হলে সেদিনে দেড় কোটি মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি পাঠানোর মতো সড়ক, রেল, নৌ কোন পথের যানবাহনের সক্ষমতা আমাদের দেশে নেই। তাই দুর্ভোগ কমাতে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনটি। ঈদের লম্বা ছুটি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমানো, ভাড়া নৈরাজ্য কমানো ও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমানোর জন্য ব্যবহার করা জরুরি মনে করেন তিনি। তাই এই ছুটি ব্যবস্থাপনা ঠিক করে ঈদের আগে ছুটি বাড়ানো জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ঈদের পরে ৮ জুন থেকে ১৪ জুন ৭ দিনের লম্বা ছুটি অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। তাই ১১ ও ১২ জুনের ছুটি বাতিল করে ৩ ও ৪ জুন ছুটি নিশ্চিত করা গেলে দেশের মানুষজন পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসবে ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে, পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ৪ দিন ছুটি ছিল বলেই মানুষজন ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো হলো-
১। ঈদের পরের ছুটি কমিয়ে ঈদের আগে ৩ ও ৪ জুন দুই দিনের ছুটি বাড়ানো।
২। ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কর বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩। পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪। জাতীয় মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধ করা।
৫। কালবৈশাখি মৌসুম হওয়ায় নৌ-পথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা।
৬। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
৭। টোল পয়েন্টগুলোতে যানজট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।
৮। সড়কে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে যানজট তৈরি ও সড়কের পাশে পশুরহাট থেকে সৃষ্ট যানজট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯। ঈদের আগে প্রতিটি জাতীয় মহাসড়ক সড়ক নিরাপত্তা অডিট নিশ্চিত করা।
১০। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় রাখা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর: গুরুত্ব পাবে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও বিনিয়োগ

স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিতে ছুটি পুনর্বিন্যাসের দাবি

আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে ঈদের ছুটি ব্যবস্থাপনা ঠিক করে ঈদের আগে ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিন ছুটি ঘোষণার বিষয়টি ইতঃপূর্বে গণমাধ্যমে চাউর হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই এই ছুটি ঘোষণা করায় দেশের যাত্রীসাধারণ এবারের আসন্ন ঈদুল আজহায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিষয়টি সরকারের সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তেমন কোনো সাড়া মেলেনি।

তিনি বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে বিদায়ি পবিত্র ঈদুল ফিতরে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রার পেছনে মূলত তিনটি কারণ ছিল। এর মধ্যে একটি ঈদের আগে ৪ দিনের লম্বা ছুটি, দ্বিতীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের প্রভাবশালী মাফিয়া নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় সড়কে মাস্তানিতন্ত্রের অবসান ও তৃতীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআরটিএ, ভোক্তা অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে মানুষ ভোগান্তিমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করা গেছে। এই কারণে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের তুলনায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ২১.০৫ শতাংশ, নিহত ২০.৮৮ শতাংশ, আহত ৪০.৯১ শতাংশ কমেছিল। এই কারণে অন্তর্বর্তী সরকার নানা মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি বিন্যাস করে ঈদের আগে ৩ ও ৪ জুন ২ দিন ছুটি নিশ্চিত করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি, যাতায়াতের ভোগান্তি কমানো সক্ষম হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পবিত্র ঈদুল আজহায় আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন মোট ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছেন। লম্বা ছুটির কারণে এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যেতে পারে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ও ঢাকার আশেপাশে জেলা থেকে আরো ৩০ লাখসহ ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারে। ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলে ঈদের আগে ৫ ও ৬ জুন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মাত্র ২ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। আর ৬ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হলে ঈদের আগে মাত্র ৫ জুন বৃহস্পতিবার ১ দিনের সরকারি ছুটি থাকে। ঈদের আগে ঈদের ছুটি ২ দিন হলে একদিনে ৭৫ লাখ করে দুই দিনে দেড় কোটি মানুষ গ্রামের বাড়ি পাঠাতে গেলে দেশের যাত্রীসাধারণ ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়তে হবে। অন্যদিকে ঈদের আগে ঈদের ছুটি ১ দিন হলে সেদিনে দেড় কোটি মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি পাঠানোর মতো সড়ক, রেল, নৌ কোন পথের যানবাহনের সক্ষমতা আমাদের দেশে নেই। তাই দুর্ভোগ কমাতে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনটি। ঈদের লম্বা ছুটি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমানো, ভাড়া নৈরাজ্য কমানো ও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমানোর জন্য ব্যবহার করা জরুরি মনে করেন তিনি। তাই এই ছুটি ব্যবস্থাপনা ঠিক করে ঈদের আগে ছুটি বাড়ানো জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানান।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ঈদের পরে ৮ জুন থেকে ১৪ জুন ৭ দিনের লম্বা ছুটি অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। তাই ১১ ও ১২ জুনের ছুটি বাতিল করে ৩ ও ৪ জুন ছুটি নিশ্চিত করা গেলে দেশের মানুষজন পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসবে ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে, পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ৪ দিন ছুটি ছিল বলেই মানুষজন ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো হলো-
১। ঈদের পরের ছুটি কমিয়ে ঈদের আগে ৩ ও ৪ জুন দুই দিনের ছুটি বাড়ানো।
২। ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কর বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩। পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪। জাতীয় মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধ করা।
৫। কালবৈশাখি মৌসুম হওয়ায় নৌ-পথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা।
৬। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
৭। টোল পয়েন্টগুলোতে যানজট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।
৮। সড়কে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে যানজট তৈরি ও সড়কের পাশে পশুরহাট থেকে সৃষ্ট যানজট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯। ঈদের আগে প্রতিটি জাতীয় মহাসড়ক সড়ক নিরাপত্তা অডিট নিশ্চিত করা।
১০। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় রাখা।