নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে জিয়ার কবর জিয়ারত করতে যান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- দেশে নাকি খাদ্য ঘাটতি ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তিনি কিন্তু ফুড সিকিউরিটির কথা ভাবেননি। একদিকে তিনি দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, অন্যদিকে সচিবদের ভবন নির্মাণের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এটা তার স্ববিরোধী অবস্থান।’
রিজভী বলেন, ‘দেশ এক ভয়ংকর সংকটের মধ্যে পড়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষকে বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে, ভয়ভীতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার কথা বলছেন। তিনি আসন্ন দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন, খাদ্য সংকটের কথা বলছেন। তিনি একদিকে বলছেন খাদ্যের অপচয় রোধ করতে অন্যদিকে আমরা দেখছি তার সরকারের লোকজন অর্থনীতির ভয়ংকর লুটপাট করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন এ কথা বলছেন তখন কি প্রধানমন্ত্রীর মনে পড়ে তার জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। আজকে ওই টাকা যদি দেশে থাকতো তাহলে আমরা ওই টাকা দিয়ে খাদ্য কিনে গোডাউনে রাখতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘দেশ যখন দুর্নীতি আর দুঃশাসনের বেড়াজালে আচ্ছন্ন, আজকে দেশে যখন অসত্যের ফানুস উড়িয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একটি সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে গোটা দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে তখন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যে মানবকল্যাণে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে, এটা সত্যি প্রেরণাদায়ক কাজ।’
রিজভী বলেন, ‘মানবকল্যাণের এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ২৩ বছর আগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন পথ চলা শুরু করে। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে শুধু নয়, স্বৈরাচারী দুঃশাসনে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবাদানে প্রচেষ্টা চালিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। সমাজ সেবার মহান ব্রতকে সামনে রেখে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে যিনি অবস্থান করছেন তিনি হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নেতৃত্বেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আরও সমৃদ্ধ হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, জেডআরএফের ডা. এ এস হায়দার পারভেজ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, কাদের গণি চৌধুরী, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন, মীর হেলাল, ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুল, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ ছানোয়ার আলম, দবির উদ্দিন তুষার, শামীমা রাহিম, রাকিবুল হাসান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, আসিফ হোসেন রচিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।