ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

স্বপ্নের’ টেস্ট সেঞ্চুরি করে সাদমানের ফেরা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের হয়ে শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই খেলেন সাদমান ইসলাম। নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেছেন টেস্টের উপযোগী হতে, টেস্টকে ঘিরেই তার আশা আর স্বপ্নের জগত। সেই স্বপ্নগুলোর একটি পূরণ হলো এবার জিম্বাবুয়েতে। একরাশ ভালোলাগা নিয়ে তাই ফিরতে পারলেন তিনি দেশে। হারারে টেস্ট শেষ করে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরলেন সাদমান। তার সঙ্গে ফিরেছেন টেস্ট দলের নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নাঈম হাসান, সাইফ হাসান ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। সীমিত ওভারের দলে না থাকলেও প্রস্তুতির সহায়তার জন্য দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছে দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসেনকে। সফরে এবার একটিই টেস্ট ছিল বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও কন্ডিশন সহজ ছিল না, প্রথম দিনে একটা পর্যায়ে দলের অবস্থাও ছিল বাজে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বড় স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমানের প্রথম ও শান্তর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে লিড চলে যায় জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই পথ ধরেই ধরা দেয় ২২০ রানের জয়। অষ্টম টেস্টে সাদমানের প্রথম সেঞ্চুরি, সেটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে এটি তার ফেরার টেস্ট বলেও। সব মিলিয়ে অনেক প্রাপ্তির টেস্ট। দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাদমানের কণ্ঠে ফুটে উঠল তৃপ্তির সুর।
“সব ব্যাটসম্যানেরই তো স্বপ্ন থাকে প্রথম একশ নিয়ে। ওরকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আশায় ছিলাম যে একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে সেরাটা দিতে পেরেছি, তাই ভালো একটি ফল এসেছে। দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।” “ওদের কন্ডিশনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমরা সব সময়েই মনে করেছি যে, ওদের চেয়ে আমরা ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।” টেস্ট ম্যাচটি ভিন্ন আবহ পেয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর অবসরের খবরে। এখনও যদিও তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি, তবে টেস্টের শেষ দিনে মাঠে নামার সময় তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় দল। সাদমান জানালেন, দলকে অবসরের কথা জানানোর পর তারা সবাই মরিয়া ছিলেন মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ী উপহার দিতে। “আমরা তো জানতাম না, এটা উনার শেষ ম্যাচ। রিয়াদ ভাই হুট করে ড্রেসিং রুমে আমাদের জানিয়েছে। এরপরই সবাই চিন্তা করেছি যে রিয়াদ ভাইয়ের জন্য খেলব। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল।” “উনি আমাদের দলের জন্য যা করে গিয়েছেন, তাই সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম। পরে সবাই ভেবেছি, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা উনার জন্য খেলতে হবে। মনে হয়েছিল যে উনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে। সবার ইচ্ছে ছিল, শেষ মুহূর্তটা উনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করছি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্নের’ টেস্ট সেঞ্চুরি করে সাদমানের ফেরা

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের হয়ে শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই খেলেন সাদমান ইসলাম। নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেছেন টেস্টের উপযোগী হতে, টেস্টকে ঘিরেই তার আশা আর স্বপ্নের জগত। সেই স্বপ্নগুলোর একটি পূরণ হলো এবার জিম্বাবুয়েতে। একরাশ ভালোলাগা নিয়ে তাই ফিরতে পারলেন তিনি দেশে। হারারে টেস্ট শেষ করে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরলেন সাদমান। তার সঙ্গে ফিরেছেন টেস্ট দলের নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নাঈম হাসান, সাইফ হাসান ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। সীমিত ওভারের দলে না থাকলেও প্রস্তুতির সহায়তার জন্য দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছে দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসেনকে। সফরে এবার একটিই টেস্ট ছিল বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও কন্ডিশন সহজ ছিল না, প্রথম দিনে একটা পর্যায়ে দলের অবস্থাও ছিল বাজে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বড় স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমানের প্রথম ও শান্তর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে লিড চলে যায় জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই পথ ধরেই ধরা দেয় ২২০ রানের জয়। অষ্টম টেস্টে সাদমানের প্রথম সেঞ্চুরি, সেটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে এটি তার ফেরার টেস্ট বলেও। সব মিলিয়ে অনেক প্রাপ্তির টেস্ট। দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাদমানের কণ্ঠে ফুটে উঠল তৃপ্তির সুর।
“সব ব্যাটসম্যানেরই তো স্বপ্ন থাকে প্রথম একশ নিয়ে। ওরকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আশায় ছিলাম যে একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে সেরাটা দিতে পেরেছি, তাই ভালো একটি ফল এসেছে। দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।” “ওদের কন্ডিশনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমরা সব সময়েই মনে করেছি যে, ওদের চেয়ে আমরা ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।” টেস্ট ম্যাচটি ভিন্ন আবহ পেয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর অবসরের খবরে। এখনও যদিও তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি, তবে টেস্টের শেষ দিনে মাঠে নামার সময় তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় দল। সাদমান জানালেন, দলকে অবসরের কথা জানানোর পর তারা সবাই মরিয়া ছিলেন মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ী উপহার দিতে। “আমরা তো জানতাম না, এটা উনার শেষ ম্যাচ। রিয়াদ ভাই হুট করে ড্রেসিং রুমে আমাদের জানিয়েছে। এরপরই সবাই চিন্তা করেছি যে রিয়াদ ভাইয়ের জন্য খেলব। উনি বলার পর আমাদের ভালো করার ইচ্ছাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল।” “উনি আমাদের দলের জন্য যা করে গিয়েছেন, তাই সবাই একটু মন খারাপ করেছিলাম। পরে সবাই ভেবেছি, যে করেই হোক শেষ ম্যাচটা উনার জন্য খেলতে হবে। মনে হয়েছিল যে উনার জন্য হলেও ম্যাচটা জিততে হবে। সবার ইচ্ছে ছিল, শেষ মুহূর্তটা উনাকে উৎসর্গ করব। আমরা সেভাবেই করছি।”