ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বপ্নবাজ তরুণ আলীর ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি’ নিয়ে গবেষণা

  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: গবেষণা কেবল তথ্য খোঁজার প্রক্রিয়া নয়; এটি একটি স্বপ্ন দেখা, অজানাকে জানার, অদেখাকে আবিষ্কার করার। এ স্বপ্ন সামনে রেখেই যুগে যুগে মানুষ ছুটেছে সীমানার বাইরে, ভেঙেছে বাধার প্রাচীর। গবেষণার স্রোতে যে সমাজ যত বেশি সম্পৃক্ত; সে সমাজ তত বেশি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছেছে। তবে আমাদের দেশে গবেষণার প্রতি আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত। এ সীমাবদ্ধতার মাঝেও অনেক স্বপ্নবাজ তরুণ গবেষণার মশাল জ্বালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিতুমীর কলেজের আলী আহমদ তাদেরই একজন।

আলীর গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র হলো ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি’। তার ভাষায়- ‘আমি এমন এক পদ্ধতির ওপর কাজ করছি; যা একদিকে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াবে; অন্যদিকে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়ক হবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ উদ্যোগ শুধু ব্যতিক্রমী নয়, সময়োপযোগীও হবে বলে মনে করি।’

তিতুমীর কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি আলী দায়িত্ব পালন করেছেন কলেজের গবেষণা সংগঠন ‘তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাবের’ সভাপতি হিসেবে। ক্লাব সম্পর্কে সদ্য বিদায়ী সভাপতি আলী বলেন, ‘গবেষণার প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বাড়ানো এবং তাদের গবেষণার প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানই ক্লাবের মূল লক্ষ্য।’ এখানে নতুনরা গবেষণার হাতেখড়ি নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলেও মনে করেন রিসার্চ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

গবেষণায় আলীর সাফল্য এরই মধ্যে নজর কেড়েছে বিভিন্ন মহলে। তার গর্বের অধ্যায় হলো সুইডেন দূতাবাস থেকে পাওয়া ফেলোশিপ। বাংলাদেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হওয়া এ অর্জন তিতুমীর কলেজের জন্য এক বিরল সম্মান। ‘পুরো বাংলাদেশ থেকে মাত্র দশজনকে এ ফেলোশিপের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। ঢাবি, বুয়েট, জবি, বিইউপি, রুয়েটের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমিই ছিলাম তিতুমীর কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র।’ গৌরব মিশ্রিত স্বরে বললেন আলী আহমদ। তবে এ পথচলা সহজ ছিল না। নিজের স্নাতকের প্রথম বছর ড্রপ দেওয়ার ঝুঁকিও নিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আলী আহমদ বলেন, ‘গবেষণার খুঁটিনাটি শিখতে গিয়ে বুঝেছিলাম, সময়ের আগে পরীক্ষার দৌড়ে নামাটা ভুল হবে। তাই থেমে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে দেশের জন্য বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখছি। তিতুমীর কলেজ আমার শক্তি এবং গর্বের জায়গা। আমার সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি কলেজেরও সাফল্য।’ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজের জ্ঞানকে আরও শাণিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানান তিনি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বপ্নবাজ তরুণ আলীর ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি’ নিয়ে গবেষণা

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: গবেষণা কেবল তথ্য খোঁজার প্রক্রিয়া নয়; এটি একটি স্বপ্ন দেখা, অজানাকে জানার, অদেখাকে আবিষ্কার করার। এ স্বপ্ন সামনে রেখেই যুগে যুগে মানুষ ছুটেছে সীমানার বাইরে, ভেঙেছে বাধার প্রাচীর। গবেষণার স্রোতে যে সমাজ যত বেশি সম্পৃক্ত; সে সমাজ তত বেশি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছেছে। তবে আমাদের দেশে গবেষণার প্রতি আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত। এ সীমাবদ্ধতার মাঝেও অনেক স্বপ্নবাজ তরুণ গবেষণার মশাল জ্বালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিতুমীর কলেজের আলী আহমদ তাদেরই একজন।

আলীর গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র হলো ‘জলবায়ু স্মার্ট কৃষি’। তার ভাষায়- ‘আমি এমন এক পদ্ধতির ওপর কাজ করছি; যা একদিকে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াবে; অন্যদিকে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়ক হবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ উদ্যোগ শুধু ব্যতিক্রমী নয়, সময়োপযোগীও হবে বলে মনে করি।’

তিতুমীর কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি আলী দায়িত্ব পালন করেছেন কলেজের গবেষণা সংগঠন ‘তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাবের’ সভাপতি হিসেবে। ক্লাব সম্পর্কে সদ্য বিদায়ী সভাপতি আলী বলেন, ‘গবেষণার প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বাড়ানো এবং তাদের গবেষণার প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানই ক্লাবের মূল লক্ষ্য।’ এখানে নতুনরা গবেষণার হাতেখড়ি নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলেও মনে করেন রিসার্চ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

গবেষণায় আলীর সাফল্য এরই মধ্যে নজর কেড়েছে বিভিন্ন মহলে। তার গর্বের অধ্যায় হলো সুইডেন দূতাবাস থেকে পাওয়া ফেলোশিপ। বাংলাদেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হওয়া এ অর্জন তিতুমীর কলেজের জন্য এক বিরল সম্মান। ‘পুরো বাংলাদেশ থেকে মাত্র দশজনকে এ ফেলোশিপের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। ঢাবি, বুয়েট, জবি, বিইউপি, রুয়েটের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমিই ছিলাম তিতুমীর কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র।’ গৌরব মিশ্রিত স্বরে বললেন আলী আহমদ। তবে এ পথচলা সহজ ছিল না। নিজের স্নাতকের প্রথম বছর ড্রপ দেওয়ার ঝুঁকিও নিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আলী আহমদ বলেন, ‘গবেষণার খুঁটিনাটি শিখতে গিয়ে বুঝেছিলাম, সময়ের আগে পরীক্ষার দৌড়ে নামাটা ভুল হবে। তাই থেমে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে দেশের জন্য বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখছি। তিতুমীর কলেজ আমার শক্তি এবং গর্বের জায়গা। আমার সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি কলেজেরও সাফল্য।’ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজের জ্ঞানকে আরও শাণিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানান তিনি।