ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বাড়ি গিয়ে পরিবারকে হুমকি দেওয়া ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদের ভাগ্নের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত বলছেন, তিনি ওই ইউপি সদস্যের খোঁজ নিতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তার স্ত্রী-কন্যা তাকে খাবার খাইয়ে আপ্যায়ন করেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোমগ্রাম এলাকায় সাবেক ওই ইউপি সদস্যের বাড়ি গিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। ওই সাবেক ইউপি সদস্যের নাম মুক্তার আলী। তিনি জানান, তার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে গিয়ে এমপি বেনজির আহমদের ভাগ্নে মাহফুজ শাহিন হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে তাকে শাসান। এছাড়া ওই এলাকায় কাঁচি প্রতীকের কিছু পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হয়। মুক্তার আলী বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। তখন শাহিন ও তার সঙ্গে আরও ৪-৫ জন আমার বাড়ি গিয়ে আমার স্ত্রীকে হুমকি দেয়। সে বলে আমি যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করি তাহলে আমাকে মামলা দেওয়া হবে ও আমার ওপর হামলা করে প্রাণনাশ করা হবে। ওই সময় গোমগ্রাম এলাকায় কাঁচি প্রতীকের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলে তারা। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, এমপির ভাগ্নে মাহফুজ শাহিন মুক্তার মেম্বারের বাড়ি গিয়ে তাকে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয় ও কাঁচি প্রতীকের কর্মী হিসেবে কাজ করতে না করেন। এই বিষয়ে থানায় জানিয়েছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহফুজ শাহিন বলেন, সে আমাদেরই লোক ছিল। দুইদিন ধরে ফোন ধরছিল না। আমরা ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার সঙ্গে এক ইউপি সদস্য ও আরও দুইজন ছিল। ভাবলাম, কি হয়েছে, অসুস্থও থাকতে পারে। পরে বাড়ির সামনে গিয়েছি। তখন ভাবি টেনে বাড়ি নিয়ে গেছেন। আমাদের অনেক আপ্যায়ন করেছে। মুক্তার আলীকে ফারুক মেম্বারও ফোন দিল। তার বাড়িতে বসে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম। পাশে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। আমাকে দাওয়াত দিল। মুক্তার আলীর স্ত্রী, ফারুক মেম্বারকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন কি হয়েছে। হামলা-মামলার হুমকির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অসম্ভব। তার ছেলে ছিল। জনসভা করবে কি না জানতে চাইলো। সে রাজনৈতিক কারণে হয়তো বলতে পারে। তার বাসায় খেজুর, আপেল, সেমাই খেয়েছি আমরা। ভাত খাওয়ার জন্য জোরাজোরি করেছিল। তবে সময় স্বল্পতায় খাইনি।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আমি ঘটনাটা শুনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হবে বিষয়টি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।