ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের ভোটে জিতে গেলে আমাদের কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:৪১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার জেতার অধিকার আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জনগণের ভোটে জিতে যায়, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে ফেয়ার প্রতিযোগিতামূলক, এখানে কোনো মারামারি সংঘাত নেই।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মরণ কামড় দিতে চায়। যারা নির্বাচনমুখী তাদের নিয়ে বিরোধীদের নাশকতা প্রতিহত করা হবে।’ মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো পণ্য কিনব না। আন্তর্জাতিক বিশ্বে টানাপোড়েন আছে। বিদেশে আমাদেরও বন্ধু আছে। তারাও আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী একটা বিরোধী দল দরকার আছে।’ ‘অধিকাংশ জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী, এতে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাদের বিভক্তি কর্মীর বিভক্তি- এই নিয়ে বিষফোঁড়া কেন হবে আমি জানি না। এটা আমাদের নির্বাচনি কৌশল। নির্বাচনকে অর্থবহ ও উপভোগ্য করাই আমাদের লক্ষ্য। নির্বাচন হবে ফেয়ার প্রতিযোগিতামূলক, এখানে কোনো মারামারি সংঘাত নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করতে চায় করবে, এটা নিয়ে দল কোনো ভিন্ন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার জেতার অধিকার আছে। আমরা দল হিসেবে মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জনগণের ভোটে এগিয়ে যায়, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে, দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তার রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ছয়শ গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের ভোটে জিতে গেলে আমাদের কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০২:৪১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার জেতার অধিকার আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জনগণের ভোটে জিতে যায়, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে ফেয়ার প্রতিযোগিতামূলক, এখানে কোনো মারামারি সংঘাত নেই।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মরণ কামড় দিতে চায়। যারা নির্বাচনমুখী তাদের নিয়ে বিরোধীদের নাশকতা প্রতিহত করা হবে।’ মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো পণ্য কিনব না। আন্তর্জাতিক বিশ্বে টানাপোড়েন আছে। বিদেশে আমাদেরও বন্ধু আছে। তারাও আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী একটা বিরোধী দল দরকার আছে।’ ‘অধিকাংশ জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী, এতে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাদের বিভক্তি কর্মীর বিভক্তি- এই নিয়ে বিষফোঁড়া কেন হবে আমি জানি না। এটা আমাদের নির্বাচনি কৌশল। নির্বাচনকে অর্থবহ ও উপভোগ্য করাই আমাদের লক্ষ্য। নির্বাচন হবে ফেয়ার প্রতিযোগিতামূলক, এখানে কোনো মারামারি সংঘাত নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করতে চায় করবে, এটা নিয়ে দল কোনো ভিন্ন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার জেতার অধিকার আছে। আমরা দল হিসেবে মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জনগণের ভোটে এগিয়ে যায়, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে, দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তার রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ছয়শ গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।