ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

  • আপডেট সময় : ১২:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ছুটিতে এসে ফরিদপুরে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ঝিনাইদহ পিবিআই কার্যালয়ে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মনির। তিনি নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার ছেলে। শনিবার নগরকান্দায় তার নিজ বাড়ি মনি মহলে অনাড়ম্বর পরিবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মনিরুজ্জামান মনির। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়াকে লাল গালিচায় বরণ করে নেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় জামাল হোসেন মিয়ার সমর্থক ফুলসুতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনী সভায় অংশ নেন। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোনো আইনসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না। এছাড়া সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রচারণায় অংশ না নিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালাতেও নির্দেশনা আছে। পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল মিয়াকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসি। তাই তার নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছি। আর এটাতো আমার বাড়ি।’ তবে ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন কি না’ এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। ফরিদপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবির বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সরকারি কর্মকর্তার প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। তিনি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

আপডেট সময় : ১২:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ছুটিতে এসে ফরিদপুরে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ঝিনাইদহ পিবিআই কার্যালয়ে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মনির। তিনি নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার ছেলে। শনিবার নগরকান্দায় তার নিজ বাড়ি মনি মহলে অনাড়ম্বর পরিবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মনিরুজ্জামান মনির। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়াকে লাল গালিচায় বরণ করে নেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় জামাল হোসেন মিয়ার সমর্থক ফুলসুতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনী সভায় অংশ নেন। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(৩) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোনো আইনসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না। এছাড়া সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রচারণায় অংশ না নিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালাতেও নির্দেশনা আছে। পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল মিয়াকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসি। তাই তার নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছি। আর এটাতো আমার বাড়ি।’ তবে ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন কি না’ এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। ফরিদপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবির বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সরকারি কর্মকর্তার প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। তিনি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।