আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্পেনে যাওয়ার পথে ১০ হাজার ৫৪৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্পেনভিত্তিক অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংস্থা কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানায় সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
এই সংস্থার মতে, ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছর নিখোঁজ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি হয়েছে।
সংস্থাটির ‘রাইট টু লাইফ ২০২৪’ প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পথে স্পেন যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দিনে গড়ে ৩০ জন মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে যা একটি রেকর্ড।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪২১জন নারী ও এক হাজার ৫৩৮জন শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক। ২০২৩ সালে গড়ে প্রতিদিন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বাঁচার অধিকার: সাগরে নৌকাডুবি ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর বিষয়ে কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস বলেছে, ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধারের দায়িত্ব ও মানুষের “বাঁচার অধিকার”-কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। এর চেয়ে বরং অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের দিকটি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা মালেনো বলেন, মৃত্যুর এই সংখ্যাগুলো আমাদের উদ্ধার ও সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর গভীর ব্যর্থতাকে তুলে ধরে।
এক বছরে ১০ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই ট্র্যাজেডি মেনে নেওয়া যায়না।
বিপজ্জনক সমুদ্রপথ: সমুদ্রপথে স্পেনে যাওয়ার যতগুলো পথ রয়েছে তার মধ্যে আটলান্টিক সমুদ্রপথকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করেছে কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস। চলতি বছর এই পথে ৯ হাজার ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে মৌরিতানিয়া থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পথেও।
আলজেরিয়া থেকে আসা ভূমধ্যসাগরের রাস্তাটিও বিপজ্জনক রাস্তার তালিকায় রয়েছো এই পথে প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৭জন।
স্পেনের স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নৌকায় চেপে ৫৭ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেনে এসে পৌঁছেছেন। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই আটলান্টিক হয়ে এসেছেন।