ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

স্পুতনিক-ভি উৎপাদনের অনুমতি পেল সেরাম

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা স্পুতনিক-ভি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গত শুক্রবার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) সেরামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে পুনেতে সেরামের কারখানায় স্পুতনিক–ভি টিকা উৎপাদন করা যাবে।
এ বিষয়ে সেরামের একজন মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘রাশিয়ার করোনার টিকা স্পুতনিক–ভি উৎপাদনের জন্য আমরা (সেরাম) প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছি। তবে পুরোদমে উৎপাদনে যেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন— এ দুটি টিকার উৎপাদন আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে।’
ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ করোনার টিকা স্পুতনিক–ভির অনুমোদন দিয়েছে। ৬৫টির বেশি দেশ টিকাটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। ভারতে গত ১৪ মে হায়দরাবাদে প্রথম স্পুতনিক–ভির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ ভারতে এ টিকার বাজারজাত করছে। বর্তমানে ভারতের বাজারে আমদানি করা স্পুতনিক–ভি টিকার প্রতি ডোজের দাম ৯৯৫ দশমিক ৪০ রুপি। এখন ভারতে এক ডোজের স্পুতনিক–ভি লাইট টিকার ব্যবহার শুরু করতে চায় ড. রেড্ডিজ।
অনুমোদন পাওয়ায় পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদন হওয়া করোনার তৃতীয় টিকা হবে স্পুতনিক–ভি। এর আগে থেকে প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে। দুই ডোজের স্পুতনিক–ভি করোনার বিরুদ্ধে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে গবেষণায় জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্পুতনিক-ভি উৎপাদনের অনুমতি পেল সেরাম

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা স্পুতনিক-ভি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গত শুক্রবার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) সেরামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে পুনেতে সেরামের কারখানায় স্পুতনিক–ভি টিকা উৎপাদন করা যাবে।
এ বিষয়ে সেরামের একজন মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘রাশিয়ার করোনার টিকা স্পুতনিক–ভি উৎপাদনের জন্য আমরা (সেরাম) প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছি। তবে পুরোদমে উৎপাদনে যেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন— এ দুটি টিকার উৎপাদন আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে।’
ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ করোনার টিকা স্পুতনিক–ভির অনুমোদন দিয়েছে। ৬৫টির বেশি দেশ টিকাটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। ভারতে গত ১৪ মে হায়দরাবাদে প্রথম স্পুতনিক–ভির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ ভারতে এ টিকার বাজারজাত করছে। বর্তমানে ভারতের বাজারে আমদানি করা স্পুতনিক–ভি টিকার প্রতি ডোজের দাম ৯৯৫ দশমিক ৪০ রুপি। এখন ভারতে এক ডোজের স্পুতনিক–ভি লাইট টিকার ব্যবহার শুরু করতে চায় ড. রেড্ডিজ।
অনুমোদন পাওয়ায় পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদন হওয়া করোনার তৃতীয় টিকা হবে স্পুতনিক–ভি। এর আগে থেকে প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে। দুই ডোজের স্পুতনিক–ভি করোনার বিরুদ্ধে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে গবেষণায় জানানো হয়েছে।