ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ানের কোনও দূতের সফর নয়: মিয়ানমার

  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ানের কোনও দূতকে স্বাগত জানানো হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ব্রিফিংয়ে নিজেদের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র মেজর কাউং হেট সান।
মেজর কাউং হেট সান বলেন, স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ান প্রতিনিধির সফরের সঙ্গে সরকার একমত নয়। কেননা, এতে করে বিক্ষোভকারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আরও রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পথ উন্মোচিত হবে।
গত মাসেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাং-এর উপস্থিতিতে দেশটির সংকট উত্তরণে পাঁচটি পয়েন্টে একমত হয় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সদস্যরা। এতে সহিংসতার অবসান ঘটানো, সেনাবাহিনী ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপ, মানবিক সাহায্যের অনুমতি এবং আসিয়ানের একজন বিশেষ প্রতিনিধিকে মিয়ানমার সফরের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। তবে শুক্রবার সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ইস্যুতে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই কেবল সরকার আসিয়ানের দূতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারে।
মেজর কাউং হেট সান বলেন, আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো সরকার বাস্তবায়ন করবে; যদি সেটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক হয়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে দেশটি। গত বছরের নভেম্বরে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া অং সান সু চির দলকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করায় সামরিক শাসনের বিরোধিতায় রাজপথে নামে সু চির সমর্থকরা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ অন্তত ৭৭৪ জনকে হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে তিন হাজার ৫০০-এরও বেশি মানুষ। ওই অভ্যুত্থানের পর আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য বিদেশ সফরে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান। সেখানে নিজ দেশে সহিংসতার অবসান ঘটানো এবং আসিয়ানের একজন প্রতিনিধির নেপিদো সফরের ব্যাপারেও একমত প্রকাশ করেন তিনি। তবে শুক্রবার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, আসিয়ান সম্মেলনে দেওয়া অঙ্গীকার থেকে পিছু হটেছে দেশটির জান্তা সরকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ানের কোনও দূতের সফর নয়: মিয়ানমার

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ানের কোনও দূতকে স্বাগত জানানো হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ব্রিফিংয়ে নিজেদের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র মেজর কাউং হেট সান।
মেজর কাউং হেট সান বলেন, স্থিতিশীলতা ফেরার আগে আসিয়ান প্রতিনিধির সফরের সঙ্গে সরকার একমত নয়। কেননা, এতে করে বিক্ষোভকারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আরও রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পথ উন্মোচিত হবে।
গত মাসেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাং-এর উপস্থিতিতে দেশটির সংকট উত্তরণে পাঁচটি পয়েন্টে একমত হয় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সদস্যরা। এতে সহিংসতার অবসান ঘটানো, সেনাবাহিনী ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপ, মানবিক সাহায্যের অনুমতি এবং আসিয়ানের একজন বিশেষ প্রতিনিধিকে মিয়ানমার সফরের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। তবে শুক্রবার সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিতে চান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ইস্যুতে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই কেবল সরকার আসিয়ানের দূতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারে।
মেজর কাউং হেট সান বলেন, আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো সরকার বাস্তবায়ন করবে; যদি সেটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক হয়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে দেশটি। গত বছরের নভেম্বরে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া অং সান সু চির দলকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করায় সামরিক শাসনের বিরোধিতায় রাজপথে নামে সু চির সমর্থকরা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ অন্তত ৭৭৪ জনকে হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে তিন হাজার ৫০০-এরও বেশি মানুষ। ওই অভ্যুত্থানের পর আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য বিদেশ সফরে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান। সেখানে নিজ দেশে সহিংসতার অবসান ঘটানো এবং আসিয়ানের একজন প্রতিনিধির নেপিদো সফরের ব্যাপারেও একমত প্রকাশ করেন তিনি। তবে শুক্রবার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, আসিয়ান সম্মেলনে দেওয়া অঙ্গীকার থেকে পিছু হটেছে দেশটির জান্তা সরকার।