ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

স্ত্রী পালিয়েছেন, ফের বিয়ে করে হেলিকপ্টারে আনলেন নতুন বউ

  • আপডেট সময় : ০৮:১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

গত শুক্রবার নতুন বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি এনেছেন কামাল হোসেন -ছবি সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা: স্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন; সঙ্গে নিয়ে গেছেন দুই সন্তান, ৯ ভরি স্বর্ণ আর নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ নিয়ে গ্রামে হাসিঠাট্টা, কটু কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কামাল হোসেন (৩৯)। তিনি নতুন করে সংসার গড়ছেন নূপুর আক্তারের সঙ্গে। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে নববধূকে এনেছেন হেলিকপ্টারে।

গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামে এ দৃশ্য দেখা গেল। কামালের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাঠাদিয়া গ্রামের কামাল পেশায় একজন বেসরকারি সার্ভেয়ার ও জমির ব্যবসায়ী। ১০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় সাথী আক্তারের (২৮) সঙ্গে। সংসারে দুটি মেয়ে-একজনের বয়স ৮, আরেকজনের ২। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ শহরের এক বিপণিবিতানে কর্মরত মুন্না নামের এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। গত ১০ আগস্ট সাথী সংসার ছেড়ে চলে যান। পরে কামালকে তালাক দেন।

কামালের দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান একই গ্রামের তরুণী নূপুর আক্তার (২৪)। গত শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে নববধূ নূপুর আসেন কামালের বাড়ি। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে গ্রামে ছিল উৎসবের আমেজ।

কামাল বলেন, একটা সময় ভেবেছিলাম এ জীবন আর রাখব না। ঠিক সে সময় ভালোবাসা নিয়ে আমার জীবনে এসেছে নূপুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তাই আমি দ্বিতীয়বার বিয়েতে রাজি হই। প্রথম স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার আগে ভেবেছিলাম এবার বিবাহবার্ষিকীতে হেলিকপ্টারে করে ঘুরব। যেহেতু সে পালিয়ে গেছে, সব জেনেশুনে নূপুর বিয়েতে রাজি হয়েছে, তার ভালো মানসিকতাকে সম্মান দেখাতে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে এনেছি। নূপুর আক্তার বলেন, ‘কামাল একজন ভালো মনের মানুষ। তার সঙ্গে একটা অন্যায় হয়েছে, অবিচার হয়েছে। এটা কখনো যেন কারও সঙ্গে না হয়। সবকিছু জেনেশুনে কামালের মতো একজন ভালো মানুষের সঙ্গে আমার পরিবার বিয়ে দিতে সম্মত হয়। আমিও তাতে খুশি মনে রাজি হই।’

নূপুরের মামা রিমন দেওয়ান বলেন, আমরা কামালকে ছোট থেকে চিনি। তিনি ভালো মানুষ। এ কারণেই আমরা নূপুরকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি। গ্রামের মানুষও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গর্ত থেকে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা শিশু সাজিদ বেঁচে নেই

স্ত্রী পালিয়েছেন, ফের বিয়ে করে হেলিকপ্টারে আনলেন নতুন বউ

আপডেট সময় : ০৮:১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা: স্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন; সঙ্গে নিয়ে গেছেন দুই সন্তান, ৯ ভরি স্বর্ণ আর নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ নিয়ে গ্রামে হাসিঠাট্টা, কটু কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কামাল হোসেন (৩৯)। তিনি নতুন করে সংসার গড়ছেন নূপুর আক্তারের সঙ্গে। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে নববধূকে এনেছেন হেলিকপ্টারে।

গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামে এ দৃশ্য দেখা গেল। কামালের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাঠাদিয়া গ্রামের কামাল পেশায় একজন বেসরকারি সার্ভেয়ার ও জমির ব্যবসায়ী। ১০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় সাথী আক্তারের (২৮) সঙ্গে। সংসারে দুটি মেয়ে-একজনের বয়স ৮, আরেকজনের ২। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ শহরের এক বিপণিবিতানে কর্মরত মুন্না নামের এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। গত ১০ আগস্ট সাথী সংসার ছেড়ে চলে যান। পরে কামালকে তালাক দেন।

কামালের দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান একই গ্রামের তরুণী নূপুর আক্তার (২৪)। গত শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে নববধূ নূপুর আসেন কামালের বাড়ি। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে গ্রামে ছিল উৎসবের আমেজ।

কামাল বলেন, একটা সময় ভেবেছিলাম এ জীবন আর রাখব না। ঠিক সে সময় ভালোবাসা নিয়ে আমার জীবনে এসেছে নূপুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তাই আমি দ্বিতীয়বার বিয়েতে রাজি হই। প্রথম স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার আগে ভেবেছিলাম এবার বিবাহবার্ষিকীতে হেলিকপ্টারে করে ঘুরব। যেহেতু সে পালিয়ে গেছে, সব জেনেশুনে নূপুর বিয়েতে রাজি হয়েছে, তার ভালো মানসিকতাকে সম্মান দেখাতে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে এনেছি। নূপুর আক্তার বলেন, ‘কামাল একজন ভালো মনের মানুষ। তার সঙ্গে একটা অন্যায় হয়েছে, অবিচার হয়েছে। এটা কখনো যেন কারও সঙ্গে না হয়। সবকিছু জেনেশুনে কামালের মতো একজন ভালো মানুষের সঙ্গে আমার পরিবার বিয়ে দিতে সম্মত হয়। আমিও তাতে খুশি মনে রাজি হই।’

নূপুরের মামা রিমন দেওয়ান বলেন, আমরা কামালকে ছোট থেকে চিনি। তিনি ভালো মানুষ। এ কারণেই আমরা নূপুরকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি। গ্রামের মানুষও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫