বিদেশের খবর ডেস্ক : সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ এই যুদ্ধে ইউক্রেনে দখল করা ভূখ-গুলো হাতছাড়া হতেই সামরিক গতিবিধি বাড়ানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটিতে আংশিক সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর জানানো হয়েছিল, যাদের সামরিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের যুদ্ধে ডাকা হবে।
এই অবস্থার মধ্যেই নতুন এক তথ্য সামনে এনেছেন রাশিয়ার এক মেয়র। তিনি বলেছেন, কর্তৃত্বপরায়ণ স্ত্রীদের হাত থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের যুদ্ধে যোগ দিতে যাচ্ছেন অনেক রুশ পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক।
স্ত্রীদের হাত থেকে বাঁচতে অনেক রুশ পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকের ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করা রাশিয়ার ওই মেয়রের নাম ইয়ারোস্লাভ শাপোশনিকভ। তিনি রাশিয়ার কোমি প্রজাতন্ত্রের কয়লা-খনি সমৃদ্ধ ভোরকুটা শহরের মেয়র।
মেয়রের দাবি, ইউক্রেনের সাথে সংঘাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা রুশ পুরুষদের এক-দশমাংশ তাদের কর্তৃত্বপরায়ণ স্ত্রীদের হাত থেকে বাঁচতে সেখানে গেছেন।
‘ওপেন ভর্কুটা’ নামক একটি অনলাইন প্যানেল আলোচনার সময় শাপোশনিকভ বলেন, ‘প্রায় ১০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবক সেখানে (ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে) যাচ্ছে কারণ তাদের স্ত্রীরা সম্ভবত শালীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে… এবং বকাঝকা করছে, বকাঝকা করছে এবং বকা দিচ্ছে।’
শাপোশনিকভ অবশ্য তার ১০ শতাংশ অনুমান কিসের ওপর ভিত্তি করে সামনে এনেছেন তা বিস্তারিত বলেননি। তবে মেয়র নিজেই ওই সভার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আর এরপরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক মিডিয়া কভারেজ লাভ করে। এতে ব্যাপক ব্যঙ্গ আর উপহাসের শিকার হন শাপোশনিকভ। তবে এরপরও তিনি নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেননি এবং দাবি করেছেন, মিডিয়ায় তার মন্তব্যকে প্রসঙ্গের বাইরে নেওয়া হয়েছে। মিডিয়া আউটলেট পোডিয়ামকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার মাতৃভূমির একজন দেশপ্রেমিক। আমি বস্তুনিষ্ঠভাবে বলতে পারি না (মন্তব্যটি) বাইরে থেকে কেমন দেখাচ্ছে। আমার কথাগুলোকে প্রসঙ্গ থেকে বের করে কেউ কেউ তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।’
তার ভাষায়, ‘আপনাকে সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে হবে, তবে সাধারণভাবে আমি আমার অবস্থানেই আছি: নারী সবসময় পুরুষের পেছনে থাকে এবং সমর্থন দেয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে।’