লাইফস্টাইল ডেস্ক : সব দম্পতিদের মধ্যেই মনোমালিন্য ও ঝগড়াঝাটি হয়। তবে কার দোষ সেটি বিবেচনা করতে গেলে আবারও অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
তাই স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই নিজেদের ব্যবহার ও কথাবার্তায় সংযত ও সতর্ক থাকা উচিত। সঙ্গী ঠিক কেমন আচরণ আপনার কাছ থেকে আশা করেন তা বুঝতে হবে সব দম্পতিরই। তবে কখনো কখনো নারীরা একটি ছোট জিনিসকে বড় করে তোলেন, যার কারণে তাদের সঙ্গী খুব বিরক্ত ও হতাশ বোধ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনার স্বামী বা প্রেমিকের রাগ কিংবা বিরক্ত হওয়া স্বাভাবিক। সামান্য এ বিষয় থেকেই দেখা দিতে পারে সংসারে অশান্তি। তাই নারীদের উচিত ৪ অভ্যাস ত্যাগ করা, যার মাধ্যমে পুরুষ সঙ্গী বিরক্ত হতে বা রেগে যেতে পারেন-
অযথা দুশ্চিন্তা: নারীরা মনে মনে অনেক কিছু চিন্তা করে। আর এ কারণে তারা স্বামীকে কটূক্তি করতে পিছপা হন না। হয়তো আপনার দুশ্চিন্তা করার কারণ বৈধ ছিলো! তবুও স্বামীকে এ বিষয় নিয়ে বারবার কথা শোনালে তিনি রেগে যেতে পারেন। অনেক নারীই সঙ্গীর ভুল নিয়ে তাকে ঠাট্টা করেন, এতেও রাগতে পারেন সঙ্গী।
জোকস না বুঝে ঝগড়া: পুরুষরা বন্ধুদের সঙ্গে প্রচুর রসিকতা করতে ও হাসতে পছন্দ করেন। তবে অনেক নারী আছেন যা বুঝতে পারেন না ও মন খারাপ করেন। এর কারণ হলো বেশিরভাগ নারীই রসিকতা পছন্দ করেন না। মজার বিষয়গুলো নিজের উপর নেন ও রেগে যান। যদিও স্বামীরা চান তাদের স্ত্রীরা রসিকতা করুক ও মজার মানুষ হোক।
স্বামীর বান্ধবীকে নিয়ে কটূ কথা: কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীর সামনে নারী বন্ধুর প্রশংসা করেন, তখন ওই স্ত্রী হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন। আসলে একজন নারী বরাবরই তার স্বামীকে নিয়ে নিরাপত্তাহীন বোধ করেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে অন্য কোনো নারীকে ভাবতেও পারেন না তারা। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় নারী বন্ধুর কথা বলে ওই পুরুষ দাম্পত্য কলহের শিকার হন। নিজের বন্ধুকে নিয়ে খারাপ বা কটূ মন্তব্য অনেক পুরুষকেই রাগিয়ে তুলতে পারে।
ব্যক্তিগত জীবন না থাকা: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, যেখানে নারীরা অনেক এগিয়ে। তিনি প্রথমে তার স্বামীকে ট্যাগ করে কোনো পোস্ট শেয়ার করেন। অন্যদিকে নারীরাও আশা করেন তার প্রিয় পুরুষ সবার সামনে ভালবাসা দেখান। যদি এটি না ঘটে তাহলে কিছু নারী এ বিষয়টি নিয়েও ঝামেলার সৃষ্টি করেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ পুরুষই প্রেম প্রকাশে বিশেষজ্ঞ নন। তবে নারীরা এই বিষয়ে নিরাপত্তা বোধ করেন।
সঙ্গীকে খুশি রাখার ৫ কৌশল: মাঝে মাঝে এমন হতে দেখা যায়, সঙ্গী কোনো কারণে রাগ করে আছে এবং আপনার সঙ্গে কোনো কথাই বলতে চাইছে না। হতাশ হবেন না। এটি শুধু আপনার সঙ্গেই নয়, যারা প্রেম কিংবা বিয়ের সম্পর্কে আছেন, তাদের প্রায় সবার সঙ্গে হয়ে থাকে। তবে এটি বাড়তে দেওয়া মোটেও ঠিক নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, এভাবেই সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে এবং বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। তাই সঙ্গীকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করাই ভালো। কিছু কৌশল অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনার সঙ্গীকে খুশি রাখতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সঙ্গীকে খুশি রাখার ৫ কৌশল-
ঝগড়া হলে ইগো দূরে রেখে কথা বলুন: এমন হতেই পারে আপনার কোনো ভুল নেই, তারপরও সঙ্গী কিছু বুঝতেই চাইছে না। এইসময় বেশিরভাগ মানুষ ভুল পদক্ষেপ নেয় এবং ইগো নিয়ে বসে থাকে। কথাও বলতে চায় না। এটি একদমই ঠিক নয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে রাগ করা যাবে না, তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলতে হবে এবং তার রাগের কারণটি খুঁজে বের করতে হবে। ক্ষমা চান: এই উপদেশটি হয়তো জীবনে অনেক শুনেছেন। এটি সত্যিই বেশ কার্যকরী। অনেকের ধারণা থাকতে পারে, ক্ষমা চাইলে ছোট হয়ে যাবেন। তবে এটি মোটেও সঠিক ধারণা নয়। আপনার একটি ছোট সরি যদি কাউকে খুশি করতে পারে, তবে এতে আপনি কখনোই ছোট হয়ে যেতে পারেন না। তাই ক্ষমা চাইতে শিখুন।
কথা শুনুন: মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা অনেক জরুরি। যখন আপনার সঙ্গী তার সমস্যার কথা বলে, তখন তার দিকে মনোযোগ দিন। মাঝে মাঝে তর্ক না করে কিংবা উপদেশ না দিয়ে শুধু মনোযোগ দিয়ে কারো কথা শোনা অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। তাই সঙ্গী কিছু বললে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
ভালোবাসা অনুভব করান: বেশিরভাগ সময় আমরা কাউকে ভালোবাসলেও ভালোবাসা দেখাতে চাইনা। এটি মোটেও ঠিক নয়। কাউকে ভালোবাসলে তাকে সেটা অনুভব করানো অনেক জরুরি। আপনি তাকে ভালোবাসেন, সঙ্গীকে এটি অনুভব করাতে হবে। তার যতœ নিতে হবে। মাঝে মাঝে উপহার দিন। ঘুরতে নিয়ে যান।
হাসানোর চেষ্টা করুন: হাসি এমন একটি জিনিস যা মন ভালো রাখতে অনেক ভূমিকা রাখে। তাই সঙ্গীকে হাসানোর চেষ্টা করুন। যদি সে কোনো কারণে রাগ করে থাকে তবে তাকে হাসিয়ে রাগ ভাঙাতে পারেন। এটি আপনার সম্পর্ককেও ভালো রাখতে সহায়তা করে। সূত্র: প্রেসওয়ার ১৮
স্ত্রীর যে ৪ অভ্যাসে স্বামীরা রেগে যান
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ