ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

স্ত্রীর টাকায় নেশা-জুয়া, হিসাব চাওয়ায় খুন

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পারুল আক্তার ও শান্ত মল্লিকের প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নেয়। বিদেশ না গিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলে। পারুল টাকার হিসাব চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের শুরু হয়। এর জেরেই খুন হন পারুল আক্তার।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা থেকে পরদিন বিকাল ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় পারুলকে তার স্বামী শান্ত মল্লিক হত্যার করে বলে জানায় পুলিশ। হত্যাকা-ের পরপরই ঘাতক স্বামী আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় শান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা করেন নিহত পারুলের বাবা অলী আহম্মদ। গত শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শরিয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যাকা-ের বিস্তারিত তুলে ধরেন। খায়রুল আমিন বলেন, পারুল আক্তার প্রায় সাত বছর জর্ডানে চাকরি করে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় নিজের নামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিল। একই সঙ্গে জর্ডানে থাকাকালে আসামির বোন তামান্নার সঙ্গে পারুলের সুসম্পর্কের সুবাদে আসামি শান্ত মল্লিকের সঙ্গে পারুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় সাত মাস আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলে। সিআইডি জানায়, বেশ কিছুদিন পর পারুল তার বিদেশ যাওয়া এবং তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা আনুমানিক ১টার সময় পারুল তার জর্ডানে কষ্টার্জিত টাকার হিসাব চাইলে আবার বাগবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পারুলের গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায় শান্ত মল্লিক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্ত্রীর টাকায় নেশা-জুয়া, হিসাব চাওয়ায় খুন

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পারুল আক্তার ও শান্ত মল্লিকের প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নেয়। বিদেশ না গিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলে। পারুল টাকার হিসাব চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের শুরু হয়। এর জেরেই খুন হন পারুল আক্তার।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা থেকে পরদিন বিকাল ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় পারুলকে তার স্বামী শান্ত মল্লিক হত্যার করে বলে জানায় পুলিশ। হত্যাকা-ের পরপরই ঘাতক স্বামী আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় শান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা করেন নিহত পারুলের বাবা অলী আহম্মদ। গত শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শরিয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যাকা-ের বিস্তারিত তুলে ধরেন। খায়রুল আমিন বলেন, পারুল আক্তার প্রায় সাত বছর জর্ডানে চাকরি করে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় নিজের নামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিল। একই সঙ্গে জর্ডানে থাকাকালে আসামির বোন তামান্নার সঙ্গে পারুলের সুসম্পর্কের সুবাদে আসামি শান্ত মল্লিকের সঙ্গে পারুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় সাত মাস আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলে। সিআইডি জানায়, বেশ কিছুদিন পর পারুল তার বিদেশ যাওয়া এবং তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা আনুমানিক ১টার সময় পারুল তার জর্ডানে কষ্টার্জিত টাকার হিসাব চাইলে আবার বাগবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পারুলের গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায় শান্ত মল্লিক।