বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘মর্টাল কমব্যাট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত একই নামের সিনেমা। ১৯৯৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘মর্টাল কমব্যাট: অ্যানিহাইলেশন’ আসে পর্দায়। তবে ফাইটিং গেম হিসেবে যতটা জনপ্রিয় ছিল ‘মর্টাল কমব্যাট’র সিনেমা দুটি ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি। এবার নতুন করে নির্মিত হয়েছে ‘মর্টাল কমব্যাট’। মার্শাল আর্ট ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান চলচ্চিত্রকার সাইমন ম্যাকোয়েড। প্রযোজনা করেছেন জেমস ওয়েন। গতকাল রোববার (৬ জুন) সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও বক্স অফিস রিপোর্ট আশাব্যঞ্জক।
সমালোচকদের মতে, সিনেমার আয়োজন ও নির্মাণে আকর্ষণ রয়েছে। সাফল্যের দিক থেকে আগের সিনেমাগুলোর চেয়ে এটাকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখছেন তারা। জনপ্রিয় ‘মর্টাল কমব্যাট’ ভিডিও গেম যেখানে সহিংসতা আর দুর্ধর্ষ সংঘাতে ভরপুর সেখানে তা অবলম্বনে সিনেমাগুলো অনেকটাই কোমল আর সার্বজনীন। এতে সেটা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে দুর্দান্ত সব কাজ করা হয়েছে। ‘মর্টাল কমব্যাট’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ভক্ত এবং চিত্রনাট্যকার গ্রেগ রুসো টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এবার ‘মর্টাল কমব্যাট’-এ মারামারি আর সহিংসতার দৃশ্যগুলো অনেক বাস্তবসম্মত এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। রুসো বলেন, প্রথমবারের মতো ‘মর্টাল কমব্যাট’ আর-রেটেড হবে। ‘মর্টাল কমব্যাট’ ভিডিও গেমের সিংহভাগই এম-রেটেড (ম্যাচিওর কন্টেন্ট), তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। অন্য দিকে, সিনেমার ক্ষেত্রে ১৯৯৫ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট’ এবং ১৯৯৭ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট: অ্যানিহাইলেশন’ রেটিং হল পিজি-১৩, অর্থাৎ অভিভাবক নিয়ে ১৩ বছর বয়সীরা ফিল্ম দুটি দেখতে পারবে। এবারের সিনেমার ক্ষেত্রে তা নয়। ‘ডেডপুল’ এবং ‘জন উইক’-এর সাফল্যই ‘মর্টাল কমব্যাট’ নির্মাতাদের সহিংসতা প্রদর্শন করে নির্মাণে উৎসাহিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের নতুন চেষ্টা যে বিফলে যায়নি তা বোঝা যাচ্ছে সিনেমাটি সম্পর্কে দর্শকদের আগ্রহ দেখে।
স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘মর্টাল কমব্যাট’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ