নিজস্ব প্রতিবেদক : স্কিল ব্যাংকিং কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের শাখা কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ব্যাংক শাখা থেকে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে। রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে ব্যাংক শাখাগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে হিসাব খোলা, আর্থিক শিক্ষা প্রদান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি ব্যাংক শাখাকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
প্রতিবেদনে ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থীদের হিসাবের পরিমাণ, লেনদেনের তথ্য এবং আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা। ২০১১ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ শুরু করলেও, স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে বর্তমানে ৫৯টি ব্যাংক অংশ নিচ্ছে। ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এই অ্যাকাউন্টগুলো খুলতে পারবে। এতে রয়েছে নানা সুবিধা। যেমন- ফি ও চার্জে ছাড়, বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড পাওয়ার সুযোগ।