জাহাঙ্গীর আলম : দীর্ঘ বন্ধের পর উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরলেও দরিদ্রতা স্কুলে ফিরতে দেয়নি অনেক শিশুকে। মহামারি আর দারিদ্র্যের চক্রে নি¤œআয়ের পরিবারের যেসব শিশুরা ঝরে পড়েছে তাদের মধ্যে লালমনিরহাট জেলার মুস্তাকিম একজন।
মুস্তাকিম বলে, ‘করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার আগে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম, কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমি এখন একটি মোটরবাইক গ্যারেজে কাজ নিয়েছি, এখন আর স্কুলে ফেরার ইচ্ছা নেই।
‘আর পরিবারে অভাব থাকার কারণে আমি যেহেতু ইনকাম করছি তাই বাবা-মাও আর স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী নয়।’
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সর্ববৃহৎ মোটরবাইক মেরামত কারখানায় কর্মরত শিশু শ্রমজীবী ইমরান বলে, ‘আজ স্কুলে গেলে নবম শ্রেণির ক্লাস করতাম। এ বছরই অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উঠেছিলাম।’ দীর্ঘদিন শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে থাকার কারণে সে এখানে কাজ নিয়েছে। এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে পড়াশোনার প্রতি। আরেকটি কারখানায় কাজ করে মশিয়ার রহমান নামের এক শিশু। সে বলে, মহামারি শুরুর সময় সে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অটোপাশ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও লেখাপড়া থেকে দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা আর পরিবারের অসহযোগিতায় তার আর স্কুলে ফেরা হচ্ছে না বলে জানাল সে।
স্কুলে ফেরা হয়নি তাদের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ


























