নোয়াখালী প্রতিনিধি : সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে এবার রিতু আক্তার ফারজানা (১৩) নামের আরেক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। স্কুল থেকে ফেরার পথে পিছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে বখাটে এক কিশোর এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। তবে হামলাকারীর মুখে মাস্ক থাকায় তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহত রিতু আক্তার ফারজানা সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় নলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ফারজানা জানায়, রোববার দুপুর ২টার দিকে স্কুল থেকে হেঁটে একা বাড়িতে যাচ্ছিল সে। পথে আটখোলা বাড়ির সামনে পৌঁছলে একটি অটোরিকশা এসে তার পিছনে দাঁড়ায়। তখনও সে হাটছিল, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে অটোরিকশা থেকে মাস্ক পরা এক কিশোর তাকে পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে ধারালো কিছু দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করে। পরে পিছন থেকে একটি সিএনজি আসতে দেখে অটোরিকশায় উঠে দ্রুত পালিয়ে যায় হামলাকারী। বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত এগিয়ে এসে অন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে তার চাচাতো বোন পাপ্পি। পরবর্তীতে তারা বিষয়টি স্কুলে জানানোর পর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইমাম উদ্দিন জানান, স্থানীয় কিছু বখাটে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে ছাত্রীদের প্রায় উত্যক্ত করে। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিবার বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে। এ ঘটনায় জড়িতকে চিহিৃত করে গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ হাসান জানান, ফারজানার গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।