ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছেন বাইডেন, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন চায় রিয়াদ

  • আপডেট সময় : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওপেক প্লাসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পর সৌদি সরকার এখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের ব্যাপারে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সৌদি আরব আমেরিকার আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের বিজয়ের প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছে। ব্রুকলিন ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো ব্রুস রাইডেল মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন তেলের উচ্চমূল্য ডেমোক্র্যাটের দুর্বল করবে। গত সপ্তাহে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তেলের দাম বাড়ছে যা ডেমোক্র্যাট দলের জন্য রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে। এ প্রেক্ষাপটে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ব্যাপারে আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য রো খান্না বলেন, তেলের দাম শুধু তেলের পাম্পগুলোর উপরেই প্রভাব ফেলছে না বরং সামগ্রিকভাবে সমস্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলছে যার কারণে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই আমেরিকার জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং আমরা যে পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি তাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার পণ্য মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন এবং তিনি মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতিতে বাইডেনের বিরুদ্ধে গিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে ভূমিকা রাখছেন। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের যে বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে হোয়াইট হাউস শত্রুতাপূর্ণ তৎপরতা বলে উল্লেখ করেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মূল্যায়নের কথা বলেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, এই কাজের জন্য সৌদি আরবকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছেন বাইডেন, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন চায় রিয়াদ

আপডেট সময় : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওপেক প্লাসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পর সৌদি সরকার এখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের ব্যাপারে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সৌদি আরব আমেরিকার আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের বিজয়ের প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছে। ব্রুকলিন ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো ব্রুস রাইডেল মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন তেলের উচ্চমূল্য ডেমোক্র্যাটের দুর্বল করবে। গত সপ্তাহে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তেলের দাম বাড়ছে যা ডেমোক্র্যাট দলের জন্য রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে। এ প্রেক্ষাপটে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ব্যাপারে আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য রো খান্না বলেন, তেলের দাম শুধু তেলের পাম্পগুলোর উপরেই প্রভাব ফেলছে না বরং সামগ্রিকভাবে সমস্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলছে যার কারণে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই আমেরিকার জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং আমরা যে পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি তাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার পণ্য মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন এবং তিনি মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতিতে বাইডেনের বিরুদ্ধে গিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে ভূমিকা রাখছেন। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের যে বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে হোয়াইট হাউস শত্রুতাপূর্ণ তৎপরতা বলে উল্লেখ করেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মূল্যায়নের কথা বলেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, এই কাজের জন্য সৌদি আরবকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।