ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

সৌদির খেজুর চাষে উদ্যোগ

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছেন জামাল হোসেন মুন্সী নামে এক যুবক। প্রথমে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভের মুখ দেখার পর সৌদি আরবের খেজুরের বাগান করেন তিনি। এখন খেজুর থেকেও করছেন অধিক লাভের আশা। উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নিখোঁরহাটি গ্রামে বাড়ির পাঁশে ৫২ শতাংশ জমিতে সৌদি আরবের খেজুর গাছের চারা রোপণ করেছেন জামাল। তার বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
ওই এলাকার আয়নাল হক মুন্সীর ছেলে জামাল হোসেন মুন্সি ইঞ্জিনিয়ার পড়েও চাকরির পেছনের না ছুটে ব্যবসার পাশাপাশি করছেন এসব চাষাবাদ। লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় নিজেই ব্যবসা শুরু করেন জামাল। এশিয়ান পাওয়ারটেক কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে করছেন ফলের আবাদ। বাগান মালিক জামাল মুন্সি বলেন, কয়েক বছর আগে প্রথমে বাড়ির পাশে একটি জমিতে ড্রাগন ফল গাছের চারা রোপণ করি। এরপর সৌদি আরবের কয়েকটি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা লাগাই। আমি ড্রাগন ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হয়েছি। আর এ বছরে খেজুর গাছেও প্রচুর ফল ধরেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। ফলের মান ও ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আশা করছি খেজুর বিক্রি করেও আমি লাভবান হতে পারবো। এলাকাতেই আমি এ ধরনের আরও কয়েকটি বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ৫২ শতাংশ জমিতে বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি জাতের খেজুর চাষ করেছি। গাছ রোপণের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সেগুলোতে পর্যাপ্ত ফল ধরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সেগুলো পাকতেও শুরু করেছে। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হজরত আলী বলেন, বাংলাদেশে সৌদি আরবের খেজুর চাষ একটি সম্ভাবনা। এর জন্য কৃষি পর্যায়ে গবেষণা প্রয়োজন। এতে খেজুর চাষের প্রক্রিয়ার আরও সহজ দিক আবিষ্কার হবে। তিনি আরও বলেন, হর্টিকালচার সেন্টারকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। কৃষক পর্যায়ে খেজুর চাষের বার্তা পৌঁছে দিলে এটি পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়বে। লাভজনক এই চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়ের পর দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের

সৌদির খেজুর চাষে উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০১:১৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছেন জামাল হোসেন মুন্সী নামে এক যুবক। প্রথমে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভের মুখ দেখার পর সৌদি আরবের খেজুরের বাগান করেন তিনি। এখন খেজুর থেকেও করছেন অধিক লাভের আশা। উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নিখোঁরহাটি গ্রামে বাড়ির পাঁশে ৫২ শতাংশ জমিতে সৌদি আরবের খেজুর গাছের চারা রোপণ করেছেন জামাল। তার বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
ওই এলাকার আয়নাল হক মুন্সীর ছেলে জামাল হোসেন মুন্সি ইঞ্জিনিয়ার পড়েও চাকরির পেছনের না ছুটে ব্যবসার পাশাপাশি করছেন এসব চাষাবাদ। লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় নিজেই ব্যবসা শুরু করেন জামাল। এশিয়ান পাওয়ারটেক কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে করছেন ফলের আবাদ। বাগান মালিক জামাল মুন্সি বলেন, কয়েক বছর আগে প্রথমে বাড়ির পাশে একটি জমিতে ড্রাগন ফল গাছের চারা রোপণ করি। এরপর সৌদি আরবের কয়েকটি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা লাগাই। আমি ড্রাগন ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হয়েছি। আর এ বছরে খেজুর গাছেও প্রচুর ফল ধরেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। ফলের মান ও ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আশা করছি খেজুর বিক্রি করেও আমি লাভবান হতে পারবো। এলাকাতেই আমি এ ধরনের আরও কয়েকটি বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ৫২ শতাংশ জমিতে বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি জাতের খেজুর চাষ করেছি। গাছ রোপণের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সেগুলোতে পর্যাপ্ত ফল ধরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সেগুলো পাকতেও শুরু করেছে। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হজরত আলী বলেন, বাংলাদেশে সৌদি আরবের খেজুর চাষ একটি সম্ভাবনা। এর জন্য কৃষি পর্যায়ে গবেষণা প্রয়োজন। এতে খেজুর চাষের প্রক্রিয়ার আরও সহজ দিক আবিষ্কার হবে। তিনি আরও বলেন, হর্টিকালচার সেন্টারকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। কৃষক পর্যায়ে খেজুর চাষের বার্তা পৌঁছে দিলে এটি পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়বে। লাভজনক এই চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠবে।