ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ০১:২০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে কথিত সৌন্দর্যবর্ধন ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবি, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।
তারা উদ্যানে রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে কিংবা পার্কিং নির্মাণের বিপক্ষে নন। তবে গাছ কেটে সেসব নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। গাছ কাটা বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলনে যাবে বলেও জানায় সংগঠনগুলো। সংগঠনগুলো হলো- নোঙর বাংলাদেশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট এবং গ্রীণ প্ল্যানেট।
সংগঠনগুলোর দাবি, এ জাতীয় উন্নয়ন কর্মকা-ের পরিকল্পনা বিস্তৃতভাবে অবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। উদ্যানসহ সব ঐতিহাসিক স্থাপনা বা এলাকার উন্নয়নের জন্য নগর পরিকল্পক, স্থপতি, শিল্পী, ইতিহাসবিদ, উদ্যানবিদ, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পরিবেশবিদ ও কবি-সাহিত্যিক সব স্টোকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করতে হবে। যারা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে উন্নয়ন কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন ও প্রয়োজনীয় মতামত দেবেন।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে ও পাকিংজোন বানানোর জন্য অর্ধশত বছর পুরনো শতাধিক গাছ কেটেছে গণপূর্ত অধিদফতর। এর আগেও বুধবার সকালে এবং গত কয়েকদিন ধরে এ বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে হতাশা আর ক্ষোভে প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। পাশাপাশি গাছ কাটার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবগুলো প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাতটি রেস্টুরেন্ট স্থাপন করার কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ। তাদের দাবি, এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও রয়েছে। এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম মেনেই গাছ কাটছেন তারা।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন করে আরও অনেক গাছের গায়ে ‘লাল চিহ্ন’ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাতের আঁধারেও গাছ কেটে নেয়া হয়। আর এর আগে কাটা গাছগুলো রমনা কালী মন্দিরের পাশে ঢেকে রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী সবুজের সমারোহ গাছ-গাছালির এ উদ্যানকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই উদ্যানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। দেশের নতুন প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম বংশ পরম্পরায় শত শত বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখবে এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্মরণ করবে। তারা বলেন, গাছ কাটা বন্ধ না হলে তীব্র প্রতিবাদে নামব। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মঙ্গলবার (৪ মে) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অযথা রেস্টুরেন্ট নির্মাণ ও নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ করাসহ ৬ দফা সুপারিশ জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:২০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে কথিত সৌন্দর্যবর্ধন ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবি, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।
তারা উদ্যানে রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে কিংবা পার্কিং নির্মাণের বিপক্ষে নন। তবে গাছ কেটে সেসব নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। গাছ কাটা বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলনে যাবে বলেও জানায় সংগঠনগুলো। সংগঠনগুলো হলো- নোঙর বাংলাদেশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট এবং গ্রীণ প্ল্যানেট।
সংগঠনগুলোর দাবি, এ জাতীয় উন্নয়ন কর্মকা-ের পরিকল্পনা বিস্তৃতভাবে অবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। উদ্যানসহ সব ঐতিহাসিক স্থাপনা বা এলাকার উন্নয়নের জন্য নগর পরিকল্পক, স্থপতি, শিল্পী, ইতিহাসবিদ, উদ্যানবিদ, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পরিবেশবিদ ও কবি-সাহিত্যিক সব স্টোকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করতে হবে। যারা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে উন্নয়ন কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন ও প্রয়োজনীয় মতামত দেবেন।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রেস্টুরেন্ট, ওয়াকওয়ে ও পাকিংজোন বানানোর জন্য অর্ধশত বছর পুরনো শতাধিক গাছ কেটেছে গণপূর্ত অধিদফতর। এর আগেও বুধবার সকালে এবং গত কয়েকদিন ধরে এ বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে হতাশা আর ক্ষোভে প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। পাশাপাশি গাছ কাটার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবগুলো প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাতটি রেস্টুরেন্ট স্থাপন করার কাজ শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ। তাদের দাবি, এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও রয়েছে। এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম মেনেই গাছ কাটছেন তারা।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন করে আরও অনেক গাছের গায়ে ‘লাল চিহ্ন’ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাতের আঁধারেও গাছ কেটে নেয়া হয়। আর এর আগে কাটা গাছগুলো রমনা কালী মন্দিরের পাশে ঢেকে রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী সবুজের সমারোহ গাছ-গাছালির এ উদ্যানকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই উদ্যানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। দেশের নতুন প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম বংশ পরম্পরায় শত শত বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখবে এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্মরণ করবে। তারা বলেন, গাছ কাটা বন্ধ না হলে তীব্র প্রতিবাদে নামব। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মঙ্গলবার (৪ মে) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অযথা রেস্টুরেন্ট নির্মাণ ও নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ করাসহ ৬ দফা সুপারিশ জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।