ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে রিট খারিজ

  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করে এমন আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। গত ৯ মে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকশার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূলরূপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)সহ ৭টি সংগঠন এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। রিটের শুনানিতে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার হাইকোর্টের আগের রায় ও নির্দেশনা এবং সরকারের মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য সেখান থেকে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, এটা সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। পরিবেশ রক্ষা করেই এটা বাস্তবায়ন করছে সরকার।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। এসব মানুষের জন্য টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজন আছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোনো অবকাঠামো করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সেখানে কীভাবে কতটি গাছ লাগাতে হবে, সে বিষয়ে সরকার ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সব হচ্ছে। এর মধ্যেই রিট আবেদনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, মূল নকশার বাইরে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এছাড়া ইতোমধ্যে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা কেন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ঢাকা মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান যেভাবে রয়েছে সেভাবে উদ্যান সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা এবং যেসব গাছ কাটা হয়েছে তার পরিবর্তে তিনগুণ গাছ লাগানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে বিবাদী করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে রিট খারিজ

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করে এমন আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। গত ৯ মে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকশার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূলরূপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)সহ ৭টি সংগঠন এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। রিটের শুনানিতে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার হাইকোর্টের আগের রায় ও নির্দেশনা এবং সরকারের মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য সেখান থেকে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, এটা সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। পরিবেশ রক্ষা করেই এটা বাস্তবায়ন করছে সরকার।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। এসব মানুষের জন্য টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজন আছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোনো অবকাঠামো করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সেখানে কীভাবে কতটি গাছ লাগাতে হবে, সে বিষয়ে সরকার ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সব হচ্ছে। এর মধ্যেই রিট আবেদনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, মূল নকশার বাইরে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এছাড়া ইতোমধ্যে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা কেন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ঢাকা মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান যেভাবে রয়েছে সেভাবে উদ্যান সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা এবং যেসব গাছ কাটা হয়েছে তার পরিবর্তে তিনগুণ গাছ লাগানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে বিবাদী করা হয়।