প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে দামি ধাতব বস্তুর মধ্যে সোনা অন্যতম। শুধু গয়না বানাতেই নয় সোনার ব্যবহার বহুবিধ। এ থেকে বাদ যায়নি স্মার্টফোনও। এর সঙ্গে হীরার মতো মূল্যবান পাথর যুক্ত হয়ে স্মার্টফোনগুলোকে করেছে আরও বেশি দামি। বিলাসিতা হলেও এমন বিলাসিতা করার মানুষের অভাব নেই দুনিয়ায়।
বর্তমানে বাজারে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের স্মার্টফোন রয়েছে বাজারে। যেগুলোতে হীরে-জহরত থেকে শুরু করে সোনা, প্ল্যাটিনামসহ একাধিক বহুমূল্য ধাতু ও রতœ ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে। চলুন বিশ্বের এমন কিছু বহুমূল্যের স্মার্টফোনের নাম জেনে নেওয়া যাক-
ভার্চু সিগনেচার কোবরা (ঠরৎঃঁব ঝরমহধঃঁৎব ঈড়নৎধ)
এই তালিকার শুরুতেই রয়েছে বিশ্ববাজারে সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন ভার্চু সিগনেচার কোবরা। এই স্মার্টফোনের ডিজাইন করেছে ফরাসি ভিত্তিক জুয়েলারী কোম্পানি বাউচারন। ফিচার হিসাবে এতে রয়েছে, একটি ৫.২ ইঞ্চির ফুল এইচডি (১,০৮০ী১,৯২০ পিক্সেল) ডিসপ্লে প্যানেল এবং ২১ মেগাপিক্সেলের একক রিয়ার ক্যামেরা। ফোনটির বাজার মূল্য প্রায় ২.৩২ কোটি টাকা।
গোল্ডভিস রেভোলিউশন (এড়ষফারংয জবাড়ষঁঃরড়হ)
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গোল্ডভিস রেভোলিউশন। স্মার্টফোনটির দাম যেমন চমকে দেওয়ার মতো, তেমনি এতে থাকা ২৯ ক্যারেট ঠঠঝ-১ গ্রেডেড ডায়মন্ড এবং ১৮ ক্যারট পিঙ্ক ও হোয়াইট গোল্ড ব্যবহার করে করা সুক্ষ ডিজাইন চোখ ধাঁধিয়ে দেবে যে কারও। ফোনটির মূল্য প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা।
গোল্ডভিস লি মিলিয়ন (এড়ষফারংয খব গরষষরড়হ)
গোল্ডভিসের আরও একটি ফোন রয়েছে এই তালিকায়। এই স্মার্টফোনে একটি ২ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ১,৬০০ী১,২০০ পিক্সেল রেজোলিউশনের ডিসপ্লে প্যানেল রয়েছে। এটি গোল্ড, হোয়াইড এবং গোল্ড কালার অপশনে উপলব্ধ। ফোনটিরমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
গ্রেসো লাক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপট (এৎবংংড় খীঁড়ৎ খধং ঠবমধং ঔধপশঢ়ড়ঃ)
স্মার্টফোনটির বাহ্যিক বডি, ১০৮ গ্রাম গোল্ড ও ৪৫.৫ ক্যারট ব্ল্যাক ডায়মন্ড দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। আর উক্ত ডিভাইসের কী-বোর্ডটি, ১৭টি ম্যানুয়াল পালিশ এবং লেজার বেসড শেপওয়্যার দিয়ে তৈরি। ফোনটির মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
ডায়মন্ড ক্রিপ্টো (উরধসড়হফ ঈৎুঢ়ঃড় ঝসধৎঃঢ়যড়হব)
সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন এর তালিকায় রয়েছে ‘বিশ্বের সর্বাধিক নিরাপদ স্মার্টফোন’ হিসেবে আখ্যায়িত ডায়মন্ড ক্রিপ্টো। এর ভয়েস এবং মেসেজ কমিউনিকেশনসহ পুরো সিস্টেমই এনক্রিপ্ট করা আছে। এটি ১০ ক্যারট পিঙ্ক গোল্ড দিয়ে তৈরি। ফোনটির মূল্য প্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
আইফোন ৩জি কিংস বাটন (রচযড়হব ৩এ করহমং ইঁঃঃড়হ)
সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন এর তালিকায় রয়েছে অ্যাপলের আইফোন। এতে ১৮ ক্যারোট ইয়ালো, হোয়াইট এবং পিঙ্ক গোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্টফোনটির চারপাশে ১৩৮টি উৎকর্ষ মানের ডায়মন্ড বা হীরা খোদাই করে বসানো। আবার হোম বাটনে স্বতন্ত্র ভাবে একটি ৬.৬ ক্যারট হীরাও নজরে পড়বে যে কারও। ফোনটির মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা।
গোল্ডস্ট্রিকার আইফোন ৩জিএস সুপ্রিম (এড়ষফংঃৎরশবৎ রচযড়হব ৩এঝ ঝঁঢ়ৎবস)
সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন এর তালিকায় রয়েছে গোল্ডস্ট্রিকার আইফোন ৩জিএস সুপ্রিম স্মার্টফোনটি। ৩৩০টি ডায়মন্ড এবং ২২ ক্যারট গোল্ড দিয়ে তৈরি এটি। ফোনটির মূল্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা।
আইফোন ৪ ডায়মন্ড রোস এডিশন (রচযড়হব ৪ উরধসড়হফ জড়ংব ঊফরঃরড়হ)
সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন এর তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে আইফোনটি। ৫০০টিরও বেশি রোড গোল্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আইফোন ৪ ডায়মন্ড রোস এডিশন। আবার ডিভাইসে থাকা অ্যাপল লোগোতে স্বতন্ত্র ভাবে ৫৩টি ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়েছে, যার আভাস ফোনটির নামকরণেই পাওয়া গেছে। ফোনটির মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
আইফোন ৪এস এলিট গোল্ড (রচযড়হব ৪ং ঊষরঃব এড়ষফ)
স্পেশাল এডিশন আইফোনের মতো এতেও ৫০০টিরও বেশি রোড গোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনের রিয়ার প্যানেলে, ২৪ ক্যারট গোল্ড এবং সেখানে থাকা অ্যাপল লোগোতে ৫৩টি ডায়মন্ড দেখা যাবে। তবে তৎকালীন সময়ে এই ফোনের মাত্র দুটি ইউনিট ডেভলপ করা হয়েছিল। ফোনটি কিনতে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা।
ফ্যালকন সুপারনোভা আইফোন ৬ পিঙ্ক ডায়মন্ড (ঋধষপড়হ ঝঁঢ়বৎহড়াধ রচযড়হব ৬ চরহশ উরধসড়হফ)
এই তালিকার সবচেয়ে দামি ফোন হচ্ছে ফ্যালকন সুপারনোভা আইফোন ৬ পিঙ্ক ডায়মন্ড। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালে আমেরিকা ভিত্তিক লাক্সারি ব্র্যান্ড ঋঅখঈঙঘ এই বিশেষ স্মার্টফোনটি ডেভলপ করেছে। ফোনটিতে প্লাটিনাম, ২৪ ক্যারেট গোল্ড এবং রোজ গোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির মূল্য প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা।
সোনা ও হীরার তৈরি সবচেয়ে দামি ১০ স্মার্টফোন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ