ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সোনালি দিনের জনপ্রিয় নায়ক জাভেদ গুরুতর অসুস্থ

  • আপডেট সময় : ০৫:২০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদকে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারসহ নানা রকম অসুখে ভুগছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান। তিনি জানান, ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস জাভেদ বেশ কয়েক মাস ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সনি বলেন, ‘অভিনেতা জাভেদ ভাই ক্যানসারে আক্রান্ত। এছাড়াও নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। আজ (বুধবার) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।’

‘আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে উনার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি’ বলেন সনি। অভিনেতা জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ তার স্বামীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ইলিয়াস জাভেদের জন্ম ১৯৪৬ সালে ভারতের গুজরাটে। পড়াশোনার পাশাপাশি জাভেদ নৃত্যচর্চার ওপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা জাভেদ শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, বেশিরভাগ সময়ই তিনি সিনেমা দেখা আর গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আর এসব নিয়ে পরিবারের সাথে মনমালিন্য হতে থাকলে তিনি তার বাবা-মাকে না বলেই জন্মস্থান গুজরাট ছেড়ে চলে আসেন সে-সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

সেটা ছিল ১৯৬৩ সালের কথা, ঢাকায় তখন বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিয়মিত উর্দু ছবিও নির্মিত হতো, কিন্তু প্রথমদিকে অভিনয়ে সুযোগ না পেয়ে জাভেদ চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনার কাজ শুরু করেন। তার চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্য-পরিচালনা ছিলো ১৯৬৪ সালে কায়সার পাশার পরিচালনায় উর্দু ছবি ‘মালান’। এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৬৭ সালে ‘পুনম কি রাত’ উর্দু ছবিতে আবার নৃত্য পরিচালনা করেন তিনি। তবে এরপর আর থেমে থাকেননি, সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত শতাধিক ছবিতে নিয়মিত নৃত্য পরিচালনা করেন। সেক্ষেত্রে তিনি তখন ইলিয়াস নামেই নৃত্য পরিচালনা করতেন।

১৯৬৪ সালে উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘নয়ি জিন্দেগি’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। তার অনেক কাজের মধ্যে ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’, এবং ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যদিও অভিনয় জীবনের সেরা সাফল্য আসে ‘নিশান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে।

সমসাময়িক অনেক নায়িকার সঙ্গেই তিনি জুটি হয়ে কাজ করেছেন। তবে অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে তার জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট। আশির দশকে জাভেদ ভালোবেসে বিয়ে করেন নায়িকা ডলিকে। দুজনে মিলে উত্তরায় বাস করছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

সোনালি দিনের জনপ্রিয় নায়ক জাভেদ গুরুতর অসুস্থ

আপডেট সময় : ০৫:২০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদকে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারসহ নানা রকম অসুখে ভুগছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান। তিনি জানান, ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস জাভেদ বেশ কয়েক মাস ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সনি বলেন, ‘অভিনেতা জাভেদ ভাই ক্যানসারে আক্রান্ত। এছাড়াও নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। আজ (বুধবার) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।’

‘আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে উনার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি’ বলেন সনি। অভিনেতা জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ তার স্বামীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ইলিয়াস জাভেদের জন্ম ১৯৪৬ সালে ভারতের গুজরাটে। পড়াশোনার পাশাপাশি জাভেদ নৃত্যচর্চার ওপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা জাভেদ শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, বেশিরভাগ সময়ই তিনি সিনেমা দেখা আর গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আর এসব নিয়ে পরিবারের সাথে মনমালিন্য হতে থাকলে তিনি তার বাবা-মাকে না বলেই জন্মস্থান গুজরাট ছেড়ে চলে আসেন সে-সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

সেটা ছিল ১৯৬৩ সালের কথা, ঢাকায় তখন বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিয়মিত উর্দু ছবিও নির্মিত হতো, কিন্তু প্রথমদিকে অভিনয়ে সুযোগ না পেয়ে জাভেদ চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনার কাজ শুরু করেন। তার চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্য-পরিচালনা ছিলো ১৯৬৪ সালে কায়সার পাশার পরিচালনায় উর্দু ছবি ‘মালান’। এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৬৭ সালে ‘পুনম কি রাত’ উর্দু ছবিতে আবার নৃত্য পরিচালনা করেন তিনি। তবে এরপর আর থেমে থাকেননি, সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত শতাধিক ছবিতে নিয়মিত নৃত্য পরিচালনা করেন। সেক্ষেত্রে তিনি তখন ইলিয়াস নামেই নৃত্য পরিচালনা করতেন।

১৯৬৪ সালে উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘নয়ি জিন্দেগি’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। তার অনেক কাজের মধ্যে ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’, এবং ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যদিও অভিনয় জীবনের সেরা সাফল্য আসে ‘নিশান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে।

সমসাময়িক অনেক নায়িকার সঙ্গেই তিনি জুটি হয়ে কাজ করেছেন। তবে অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে তার জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট। আশির দশকে জাভেদ ভালোবেসে বিয়ে করেন নায়িকা ডলিকে। দুজনে মিলে উত্তরায় বাস করছেন দীর্ঘ দিন ধরে।