ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে মহামানবের আগমন

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান : ১৭ মার্চ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অদম্য সাহসী চিরসংগ্রামী এক মহামানবের জন্মদিন। এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেন বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়েছিল। সেদিন মরহুম শেখ লুৎফর রহমান এবং শেখ সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক, অসহায় ও শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারি, আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু, বিশ্বনেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একসাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করে। এই স্বাধীনতা প্রত্যেকটি বাঙালির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ও সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতা নামক এই সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাঙালির জীবনে কোনো দিনই সম্ভব হতো না যদি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো।
স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুর মাঝে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তাকে জেলে যেতে হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি, বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীসহ সব নাগরিক যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করে দিয়ে গেছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সোনার বাংলার আদর্শিক ও মৌলিক চরিত্র হলো স্বনির্ভর অর্থনীতি, উন্নত শাসন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা- যা এখনো বিরাট চ্যালেঞ্জ। শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে মুজিব-আর্দশকে ধারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে, বুড্ডিস্ট তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’
বঙ্গন্ধুর এই অমর বাণীর মর্মার্থ ‘বার্তা’ হিসেবে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে তাঁরা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। সচেতন হতে পারেন। তবেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে পারব।
১৭ মার্চ ১৯২০ বাংলার আকাশে শুধু স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়নি, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বুকে সেদিন একটি নতুন উন্নত আদর্শিক রাষ্ট্রেরই জন্ম হয়েছিল বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে রাষ্ট্রটি অর্জন করি সেটা শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না, আদর্শিক দিক থেকে সেটা ছিল একটি শোষণমুক্ত, গণমানুষের অধিকারপূর্ণ, সাম্যবাদী, সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতার চির প্রতিষ্ঠা এবং সব মানুষের মুক্তচিন্তার নিশ্চিয়তা বিধানের অভাবনীয় বীরত্বপূর্ণ চেতনার বিজয়। সেই বিজয়ের একমাত্র মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই মহানায়কের দেখানোর পথেই চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিহাসের কী সুন্দর পরিণতি, একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে সর্বজনীন আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব দিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পিতা ও কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সুচিন্তিত-পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও দেশীয় রাজাকারদের নির্মম নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। একটি উন্নত ও আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, ত্রাণকার্যক্রম, স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ভারতীয় বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠান, ১৯৭২ সালের সংবিধান রচনা, ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, উৎপাদন বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন, বৈরী মনোভাব নয়- সকলের সাথে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ববস্থা, ইন্টারন্যাশানাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট জারি, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন, শিক্ষা কমিশন গঠন, যমুনা সেতু নির্মাণের সূচনা, বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ ও গ্রহণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষিঋণ মওকুফকরণ, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০০ ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ, থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গঠন, বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়ায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু গৃহহীন মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ১৯৭২ সালের জুন মাসে ১ লাখ ৬৬ হাজার বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পানা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের ঘোষিত ৫০০ কোটি টাকার প্রথম বাজেটের কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়। এরপরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শিক্ষা ও সমাজকল্যাণকে। শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে শিশুখাদ্য সরবরাহের ওপর কর আরোপ করেননি।
বঙ্গবন্ধু সরকার দেশের যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ বিতরণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশের বড় সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র পুননির্মাণের কাজ শুরু করেন। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা রেলওয়ে ব্রিজ পুনঃনির্মাণ করেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও ভাঙা জাহাজ অপসারণ করেন। শিল্পখাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিল্পঋণ প্রদানে নীতিমালা গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ, শিল্প ঋণ সংস্থা, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। এরই মধ্যে চার হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পানাও ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য জাতিসংঘ ৪১১ কোটি টাকা এবং ভারত সরকার ২৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসনামলে শিল্প উন্নয়নেও বড় ধরনের পরিকল্পানা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অবকাঠামোর শক্তিশালী ভিত তৈরি করেন। কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা, বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নসহ সকল দিক থেকেই মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাতে সক্ষম হন।
বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআর-কে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেন। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০-তে উন্নীত করেন। দেশের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনারও স্বাস্থ্যখাতের প্রতি বিশেষ নজর রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ জনিত প্যানডেমিকের সফল মোকাবিলা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ও জীবনমান সচল রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রণিত সূচকে ‘কোভিড-১৯ সহনশীলতাক্রম’ অনুযায়ী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ এবং সারা বিশ্বে ২০তম স্থান অবস্থান অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের এই সাফল্যকে প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ও সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্যাকসিন সেন্টার, ফিভার ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, হাসপাতালে পৃথক কোভিড-১৯ সেবা কার্যক্রম স্থাপন এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক, বঙ্গমাতা কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। একই সাথে বিএসএমএমইউ দুর্যোগকালে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত সেবাপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন বলেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে, জনগণের মনের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চির অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। চিরজীবী হোক মহান মুক্তিযোদ্ধার চেতনা। চিরজাগ্রত থাকুক, অনির্বাণ শিখার মতো জ্বলজ্বল করুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সফল হোক, সার্থক হোক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। কোষাধ্যক্ষ, বিএসএমএমইউ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে মহামানবের আগমন

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান : ১৭ মার্চ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অদম্য সাহসী চিরসংগ্রামী এক মহামানবের জন্মদিন। এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেন বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়েছিল। সেদিন মরহুম শেখ লুৎফর রহমান এবং শেখ সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক, অসহায় ও শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারি, আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু, বিশ্বনেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একসাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করে। এই স্বাধীনতা প্রত্যেকটি বাঙালির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ও সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতা নামক এই সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাঙালির জীবনে কোনো দিনই সম্ভব হতো না যদি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো।
স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুর মাঝে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তাকে জেলে যেতে হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি, বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীসহ সব নাগরিক যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করে দিয়ে গেছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সোনার বাংলার আদর্শিক ও মৌলিক চরিত্র হলো স্বনির্ভর অর্থনীতি, উন্নত শাসন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা- যা এখনো বিরাট চ্যালেঞ্জ। শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে মুজিব-আর্দশকে ধারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে, বুড্ডিস্ট তাঁর ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’
বঙ্গন্ধুর এই অমর বাণীর মর্মার্থ ‘বার্তা’ হিসেবে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে তাঁরা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। সচেতন হতে পারেন। তবেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে পারব।
১৭ মার্চ ১৯২০ বাংলার আকাশে শুধু স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়নি, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বুকে সেদিন একটি নতুন উন্নত আদর্শিক রাষ্ট্রেরই জন্ম হয়েছিল বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে রাষ্ট্রটি অর্জন করি সেটা শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না, আদর্শিক দিক থেকে সেটা ছিল একটি শোষণমুক্ত, গণমানুষের অধিকারপূর্ণ, সাম্যবাদী, সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতার চির প্রতিষ্ঠা এবং সব মানুষের মুক্তচিন্তার নিশ্চিয়তা বিধানের অভাবনীয় বীরত্বপূর্ণ চেতনার বিজয়। সেই বিজয়ের একমাত্র মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই মহানায়কের দেখানোর পথেই চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিহাসের কী সুন্দর পরিণতি, একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে সর্বজনীন আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব দিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পিতা ও কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সুচিন্তিত-পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও দেশীয় রাজাকারদের নির্মম নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। একটি উন্নত ও আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, ত্রাণকার্যক্রম, স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ভারতীয় বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠান, ১৯৭২ সালের সংবিধান রচনা, ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, উৎপাদন বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন, বৈরী মনোভাব নয়- সকলের সাথে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ববস্থা, ইন্টারন্যাশানাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট জারি, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন, শিক্ষা কমিশন গঠন, যমুনা সেতু নির্মাণের সূচনা, বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ ও গ্রহণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষিঋণ মওকুফকরণ, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০০ ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ, থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গঠন, বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়ায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু গৃহহীন মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ১৯৭২ সালের জুন মাসে ১ লাখ ৬৬ হাজার বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পানা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের ঘোষিত ৫০০ কোটি টাকার প্রথম বাজেটের কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়। এরপরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শিক্ষা ও সমাজকল্যাণকে। শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে শিশুখাদ্য সরবরাহের ওপর কর আরোপ করেননি।
বঙ্গবন্ধু সরকার দেশের যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ বিতরণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশের বড় সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র পুননির্মাণের কাজ শুরু করেন। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা রেলওয়ে ব্রিজ পুনঃনির্মাণ করেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও ভাঙা জাহাজ অপসারণ করেন। শিল্পখাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিল্পঋণ প্রদানে নীতিমালা গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ, শিল্প ঋণ সংস্থা, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। এরই মধ্যে চার হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পানাও ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য জাতিসংঘ ৪১১ কোটি টাকা এবং ভারত সরকার ২৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসনামলে শিল্প উন্নয়নেও বড় ধরনের পরিকল্পানা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অবকাঠামোর শক্তিশালী ভিত তৈরি করেন। কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা, বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নসহ সকল দিক থেকেই মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাতে সক্ষম হন।
বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআর-কে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেন। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০-তে উন্নীত করেন। দেশের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনারও স্বাস্থ্যখাতের প্রতি বিশেষ নজর রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ জনিত প্যানডেমিকের সফল মোকাবিলা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ও জীবনমান সচল রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রণিত সূচকে ‘কোভিড-১৯ সহনশীলতাক্রম’ অনুযায়ী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ এবং সারা বিশ্বে ২০তম স্থান অবস্থান অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের এই সাফল্যকে প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ও সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্যাকসিন সেন্টার, ফিভার ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, হাসপাতালে পৃথক কোভিড-১৯ সেবা কার্যক্রম স্থাপন এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক, বঙ্গমাতা কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। একই সাথে বিএসএমএমইউ দুর্যোগকালে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত সেবাপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন বলেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে, জনগণের মনের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চির অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। চিরজীবী হোক মহান মুক্তিযোদ্ধার চেতনা। চিরজাগ্রত থাকুক, অনির্বাণ শিখার মতো জ্বলজ্বল করুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সফল হোক, সার্থক হোক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ। কোষাধ্যক্ষ, বিএসএমএমইউ