ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র-ককটেলসহ গ্রেফতার ৭

  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতাররা হলেন- মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) ও আনোয়ার হেসেন (৪৪) -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকাতির প্রস্তুতির সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার।

রোববার (১১ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। গ্রেফতাররা হলেন- মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) ও আনোয়ার হেসেন (৪৪)।

মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় সোনার দোকানে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চক্রকে ধরতে তৎপর হয় ডিবি। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ার হোসেন এবং বরিশাল জেলার পলাশের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল কোনো একটি সোনার দোকান ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পায় ডিবি।

এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি আভিযানিক দল শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ মাসুদ রানা চৌকিদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় ব্যবহারের উদেশ্যে প্রস্তুত করা ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো ইতোমধ্যে বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিষ্ক্রিয় করে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নাসিরুল ইসলাম আরো বলেন, ডাকাতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য সহযোগীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে একত্রিত হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতি সংঘটিত করবে। পরে চক্রের অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ডিবির আভিযানিক দলটি মাসুদ চৌকিদারকে নিয়ে দনিয়া কলেজের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস যোগে ডাকাত দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়। আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে শাকিল, মামুন, মো. রাব্বি, মো. আসাদ মিয়া নামের চারজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী মো. পলাশ শেখ এবং আনোয়ার হেসেনকে ধোলাইপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট সাতজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়া ডাকাতদের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নাসিরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিবি ৮৭ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। যার ফলে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র-ককটেলসহ গ্রেফতার ৭

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকাতির প্রস্তুতির সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার।

রোববার (১১ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। গ্রেফতাররা হলেন- মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) ও আনোয়ার হেসেন (৪৪)।

মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় সোনার দোকানে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চক্রকে ধরতে তৎপর হয় ডিবি। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ার হোসেন এবং বরিশাল জেলার পলাশের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল কোনো একটি সোনার দোকান ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পায় ডিবি।

এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি আভিযানিক দল শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ মাসুদ রানা চৌকিদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় ব্যবহারের উদেশ্যে প্রস্তুত করা ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো ইতোমধ্যে বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিষ্ক্রিয় করে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নাসিরুল ইসলাম আরো বলেন, ডাকাতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য সহযোগীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে একত্রিত হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতি সংঘটিত করবে। পরে চক্রের অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ডিবির আভিযানিক দলটি মাসুদ চৌকিদারকে নিয়ে দনিয়া কলেজের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস যোগে ডাকাত দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়। আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে শাকিল, মামুন, মো. রাব্বি, মো. আসাদ মিয়া নামের চারজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করে। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী মো. পলাশ শেখ এবং আনোয়ার হেসেনকে ধোলাইপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট সাতজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়া ডাকাতদের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নাসিরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিবি ৮৭ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। যার ফলে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।