ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

সোনার তরীর মিলনমেলায় ৫ গুণিজনকে সম্মাননা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

সুখদেব কুমার সানা : শুদ্ধ সঙ্গীত-সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় পাঁচজন গুণী শিল্পীকে গুণিজন সম্মাননা দিয়েছে শুদ্ধ সঙ্গীত শিক্ষা ও প্রসার কেন্দ্র সোনার তরী। গত ২০ মে শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সোনার তরীর গৌরবের ৫০০তম পর্ব’ মিলনমেলায় গুণিজনদের সংবর্ধিত করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন -অধ্যাপক ড. ইখতিয়ার ওমর (রবীন্দ্র সঙ্গীত), শাহীন সামাদ (নজরুল সঙ্গীত), ফরিদা পারভীন (লোক সঙ্গীত), প-িত অসিত দে (শাস্ত্রীয় সঙ্গীত) এবং ভারতের কলকাতার অধ্যাপক ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল (বাচিকশিল্প)।
কলকাতার প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী অধ্যাপক ড. অমিতাভ কাঞ্জিলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি। বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, ড. নাশিদ কামাল, দেশের সঙ্গীত বিষয়ক একমাত্র পত্রিকা মাসিক সরগম-এর সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন প্রমুখ। সম্মাননা গ্রহণ করেন সঙ্গীতগুরু প-িত অসিত দে, ফরিদা পারভীন, ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল। শিল্পী অধ্যাপক ড. ইখতিয়ার ওমর ও শাহীন সামাদ দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার। এই মিলনমেলার আহবায়ক ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক দীপেন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ঢাকার একটি সাধারণ গানের স্কুল থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সঙ্গীত ও সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে সুপরিচিত নামে পরিণত হয়েছে সোনার তরী। বৈশি^ক মহামারি করোনাকালজুড়ে মানুষ যখন ঘরবন্দি, সেই সময় চিন্তিত-আতঙ্কিত মানুষের মানসিক প্রশান্তির লক্ষ্যে অনলাইনে শুরু হয় লাইভস্ট্রিমিং নানা আয়োজন। শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসারের অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সোনার তরী গানের স্কুলও শামিল হয় অনলাইনে প্রতিদিন লাইভ অনুষ্ঠানে। একে একে পূর্ণ করেছে ৬০০শ’রও বেশি পর্ব। এই আয়োজনের ৫০০তম পর্বের বিশেষ মিলন মেলা উদযাপনের উদ্যোগ নেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অসীম বাইন এবং পরিকল্পনাকারী ও অ্যাডমিন বর্ণালী সরকার। সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, শিল্পী, বাচিক শিল্পীদের সমন্বয়ে একাধিক সভাও করেন অনলাইনে। সিদ্ধান্ত হয় ৫০০তম পর্বেই সশরীরে মিলনমেলা অনুষ্ঠানের। সেই সময় ফের দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারি বিধিনিষেধ জারি হয়। অবশেষে ৬০০তম পর্ব পার করে এসে সেই কাক্সিক্ষত মিলনমেলাটি আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো। সারা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সঙ্গীত, সাহিত্য তথা সাংস্কৃতিকাঙ্গনের কয়েকশ’ গুণিজন হাজির হয়েছিলেন এই মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। হলভর্তি দর্শক-শ্রোতারা পুরো আয়োজন উপভোগ করেন। একযোগে অনলাইনে লাইভ সম্প্রচারও করা হয় অনুষ্ঠানটি। মিলনমেলায় অংশগ্রহণ ও উপভোগ করে সবাই ভীষণ খুশি বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনার তরীর মিলনমেলায় ৫ গুণিজনকে সম্মাননা

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

সুখদেব কুমার সানা : শুদ্ধ সঙ্গীত-সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় পাঁচজন গুণী শিল্পীকে গুণিজন সম্মাননা দিয়েছে শুদ্ধ সঙ্গীত শিক্ষা ও প্রসার কেন্দ্র সোনার তরী। গত ২০ মে শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সোনার তরীর গৌরবের ৫০০তম পর্ব’ মিলনমেলায় গুণিজনদের সংবর্ধিত করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন -অধ্যাপক ড. ইখতিয়ার ওমর (রবীন্দ্র সঙ্গীত), শাহীন সামাদ (নজরুল সঙ্গীত), ফরিদা পারভীন (লোক সঙ্গীত), প-িত অসিত দে (শাস্ত্রীয় সঙ্গীত) এবং ভারতের কলকাতার অধ্যাপক ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল (বাচিকশিল্প)।
কলকাতার প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী অধ্যাপক ড. অমিতাভ কাঞ্জিলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এম পি। বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, ড. নাশিদ কামাল, দেশের সঙ্গীত বিষয়ক একমাত্র পত্রিকা মাসিক সরগম-এর সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন প্রমুখ। সম্মাননা গ্রহণ করেন সঙ্গীতগুরু প-িত অসিত দে, ফরিদা পারভীন, ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল। শিল্পী অধ্যাপক ড. ইখতিয়ার ওমর ও শাহীন সামাদ দেশের বাইরে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার। এই মিলনমেলার আহবায়ক ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক দীপেন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ঢাকার একটি সাধারণ গানের স্কুল থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সঙ্গীত ও সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে সুপরিচিত নামে পরিণত হয়েছে সোনার তরী। বৈশি^ক মহামারি করোনাকালজুড়ে মানুষ যখন ঘরবন্দি, সেই সময় চিন্তিত-আতঙ্কিত মানুষের মানসিক প্রশান্তির লক্ষ্যে অনলাইনে শুরু হয় লাইভস্ট্রিমিং নানা আয়োজন। শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসারের অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সোনার তরী গানের স্কুলও শামিল হয় অনলাইনে প্রতিদিন লাইভ অনুষ্ঠানে। একে একে পূর্ণ করেছে ৬০০শ’রও বেশি পর্ব। এই আয়োজনের ৫০০তম পর্বের বিশেষ মিলন মেলা উদযাপনের উদ্যোগ নেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অসীম বাইন এবং পরিকল্পনাকারী ও অ্যাডমিন বর্ণালী সরকার। সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, শিল্পী, বাচিক শিল্পীদের সমন্বয়ে একাধিক সভাও করেন অনলাইনে। সিদ্ধান্ত হয় ৫০০তম পর্বেই সশরীরে মিলনমেলা অনুষ্ঠানের। সেই সময় ফের দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারি বিধিনিষেধ জারি হয়। অবশেষে ৬০০তম পর্ব পার করে এসে সেই কাক্সিক্ষত মিলনমেলাটি আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো। সারা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সঙ্গীত, সাহিত্য তথা সাংস্কৃতিকাঙ্গনের কয়েকশ’ গুণিজন হাজির হয়েছিলেন এই মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। হলভর্তি দর্শক-শ্রোতারা পুরো আয়োজন উপভোগ করেন। একযোগে অনলাইনে লাইভ সম্প্রচারও করা হয় অনুষ্ঠানটি। মিলনমেলায় অংশগ্রহণ ও উপভোগ করে সবাই ভীষণ খুশি বলে জানিয়েছেন।