ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সৈয়দ আশরাফের ম্যুরালে ভাংচুর, প্রতিবাদ

  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে ভাংচুরের প্রতিবাদ হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে মুর‌্যালের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়ে এই প্রতিবাদ করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবিরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীরা অংশ নেন। তারা দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিীক জানান, ম্যুরালে ভাংচুরের ঘটনায় সকালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে ম্যুরালে কখন ভাংচুর হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ বা প্রতিবাদকারীরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
স্থানীয়দের ধারণা বৃহস্পতিবার রাত ৯টার আগে কোনো এক সময়ে এই ভাঙচুর চালানো হয়। জেলা শহরের আখড়া বাজার সেতুর কাছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দ আশরাফের ছবিসংবলিত ম্যুরাল ও মেয়র পারভেজ মিয়ার উদ্বোধনী স্মৃতিফলকটি ভাঙচুর করা হয়েছে। জেলার ডিসি মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাদির মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডিসি বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনা ন্যক্কারজনক। জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আশরাফ। এরপর ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সালেও নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের হাল ধরেন আশরাফ। পরে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন। আশরাফ দুই মেয়াদ সেই দায়িত্ব পালনের করেন। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে ৩ জানুয়ারি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সৈয়দ আশরাফের ম্যুরালে ভাংচুর, প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ১২:৩১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে ভাংচুরের প্রতিবাদ হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে মুর‌্যালের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়ে এই প্রতিবাদ করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবিরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীরা অংশ নেন। তারা দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিীক জানান, ম্যুরালে ভাংচুরের ঘটনায় সকালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে ম্যুরালে কখন ভাংচুর হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ বা প্রতিবাদকারীরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
স্থানীয়দের ধারণা বৃহস্পতিবার রাত ৯টার আগে কোনো এক সময়ে এই ভাঙচুর চালানো হয়। জেলা শহরের আখড়া বাজার সেতুর কাছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দ আশরাফের ছবিসংবলিত ম্যুরাল ও মেয়র পারভেজ মিয়ার উদ্বোধনী স্মৃতিফলকটি ভাঙচুর করা হয়েছে। জেলার ডিসি মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাদির মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডিসি বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনা ন্যক্কারজনক। জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আশরাফ। এরপর ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সালেও নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের হাল ধরেন আশরাফ। পরে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন। আশরাফ দুই মেয়াদ সেই দায়িত্ব পালনের করেন। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে ৩ জানুয়ারি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।